মুকুলের বিধায়কপদের ভবিষ্যৎ কী, জানা যেতে পারে সংক্রান্তির দিন

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে স্পিকারকে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

তৃণমূলে যোগদান করছেন মুকুল রায়।

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যগবিরোধী আইন কার্যকরের দাবিতে বিজেপির আবেদনের শুনানি চলল প্রায় ১ ঘণ্টা। শুক্রবার বিধানসভায় স্পিকারের কক্ষে ২ পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল জবাব চলে। তবে এদিনও ব্যাপারে কোনও নির্দেশ জারি করেননি স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী শুক্রবার ১৪ জানুয়ারি মামলার ফের শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে অবস্থান স্পষ্ট করতে হবে স্পিকারকে।

মুকুলের আইনজীবীদের দাবি, তিনি দলত্যাগ করেননি। বিজেপিতেই রয়েছেন। বিজেপির কোনও হুইপ অমান্য করেননি। এমনকী বিজেপি তাঁকে বহিষ্কারও করেনি। পালটা বিজেপির আইনজীবী ১১ জুন মুকুলের তৃণমূলে যোগদানের ছবি স্পিকারের সামনে পেশ করেন।

মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগবিরোধী আইন প্রয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বিজেপি। আগামী ১৭ জানুয়ারির মধ্যে এব্যাপারে স্পিকারকে অবস্থান জানাতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। নইলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে। ফলে ১৪ জানুয়ারির শুনানিতে স্পিকার তাঁর অবস্থান করতে পারেন বলে অনুমান।

গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হন মুকুল রায়। তার পর মাসখানেক কাটতে না কাটতেই ১১ জুন ছেলে শুভ্রাংশু সঙ্গে নিয়ে মমতা ও অভিষেকের উপস্থিতিতে তৃণমূল ভবনে তৃণমূলে যোগদান করেন তিনি। যদিও তার পরও তাঁকে PAC-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করেন স্পিকার। তৃণমূলের দাবি, বিজেপি বিধায়ক হিসাবেই তাঁকে PAC-র চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়েছে। প্রথা অনুসারে PAC-র চেয়ারম্যান হন বিরোধী দলের কোনও বিধায়ক।