এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চাকরি গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের চারজন শিক্ষকের। চারজন শিক্ষকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তাৎপর্যপূর্ণ চারজন শিক্ষকই দক্ষিণ দিনাজপুরের। আর চারজন শিক্ষকই ভৌত বিজ্ঞান বিষয়ের। আদালত সূত্রে খবর, মেধাতালিকায় নাম ছিল না তাদের। তবুও নিয়োগপত্র পেয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এখানেই বড়সর দুর্নীতির সন্ধান মেলে। দুর্নীতি মামলায় চার শিক্ষকের চাকরি যাওয়ার ঘটনায় হইচই পড়ে গিয়েছে দক্ষিণদিনাজপুর সহ গোটা বাংলায়। এই দুর্নীতি মামলায় আরও কোনও রাঘব বোয়াল যুক্ত রয়েছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশন আদালতে জানিয়ে দেয়, তাঁদের কারও নাম মেধাতালিকায় ছিল না। এসএসসি তাদের সুপারিশপত্রও দেয়নি। বিচারপতি সংশ্লিষ্ট স্কুল পরিদর্শককে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে যেন তাঁদের চাকরি বাতিল করে এতদিন যে বেতন পেয়েছেন তা ফেরত নেওয়া হয়। আদালত সূত্রে খবর, স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন সারমিন নাহার সহ ৮জন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের নাম ওয়েটিং লিস্টে থাকলেও তাঁরা চাকরি পাননি। অথচ ওই চারজন চাকরি পেয়ে যান। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। এদিকে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, এই আটজনকে চাকরিতে নিযুক্ত করা যায় কি না সেটাও দেখতে হবে।
এদিকে এর আগে গ্রুপ ডি নিয়োগেও পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসে। তার জল গড়িয়েছিল হাইকোর্ট পর্যন্ত। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে এনিয়ে সাড়া ফেলে দেওয়া নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। শেষ পর্যন্ত ৫৭৩জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। তাদের বেতন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়।