স্কুলের গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করল রাজ্য সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্যদ এবং স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে যৌথভাবে সেই আবেদন করা হয়েছে। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চে আগামিকাল (বুধবার) মামলার শুনানি হতে পারে।
সোমবারই স্কুলের গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগ মামলায় প্রাথমিকভাবে সিবিআই অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, পর্ষদ এবং কমিশনের হলফনামা থেকেই স্পষ্ট যে নিয়োগ প্রক্রিয়ার অস্বচ্ছতা আছে। যেহেতু দুটিই সংস্থা রাজ্যের, তাই প্রাথমিকভাবে অনুসন্ধান করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বা সিবিআই। আগামী ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক রিপোর্ট দিতে হবে কেন্দ্রীয় সংস্থাকে। তারপর পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করবে হাইকোর্ট।
সেই নির্দেশের পরই শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ইঙ্গিত দেন যে সিঙ্গল রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন জানানো হবে। সেইমতো মঙ্গলবার হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য। তারইমধ্যে সূত্রের খবর, সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের ভিত্তিতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে সিবিআই। কোন কোন আধিকারিকরা কমিটিতে থাকতে পারেন, সেই সংক্রান্ত তথ্য কলকাতার অফিস থেকে চাওয়া হয়েছে। তবে আপাতত কমিটি গঠন করা হচ্ছে না। আগামিকাল হাইকোর্ট থেকে নথি সংগ্রহ করা হবে। তারপর কমিটি গঠন করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী নিয়োগের যে সুপারিশ করেছিল রাজ্য সরকার, তাতে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের পর প্যানেল তৈরি করে দেয় কমিশন। অভিযোগ ওঠে, ২০১৯ সালে প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও বেআইনিভাবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২৫ জনকে নিয়োগের বিষয়ে হাইকোর্টে দায়ের করা হয় মামলা। সেই মামলার শুনানিতে মঙ্গলবার কমিশনের সচিবকে তলব করেছিল হাইকোর্ট। সেইমতো গত বুধবার হাইকোর্টে হাজিরা দিতে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন কমিশনের সচিব। কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়ে দিয়েছিল, দুপুর তিনটের মধ্যে কমিশনকে আদালতে যাবতীয় তথ্য পেশ করতে হবে। দেওয়া হবে না কোনও বাড়তি সময়। যদি সেটা না হয়, তাহলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে সিআইএসএফ অফিস ঘিরে থাকবে। তারইমধ্যে সেই মামলায় ৫০০ জনের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়।