স্কুলে চাকরির দাবিতে দিনের পর দিন ধরে ধর্নামঞ্চে দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। প্রায় ৭০০দিন পেরিয়ে গিয়েছে। নানা পথে আন্দোলন করেছেন। কখনও আন্দোলনের সুর চড়া হয়েছে। কখনও আবার নরম সুরে চাকরির আবেদন। কিন্তু কোনও পথেই চাকরি মেলেনি। এবার ধর্নামঞ্চ থেকেই দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। মঙ্গলবার ধর্নামঞ্চ থেকেই তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে একটি করে চিঠি লেখেন। নবান্নের ঠিকানায় সেই চিঠি পাঠানো হচ্ছে। প্রতি আন্দোলনকারী একটি করে চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাদের একটাই প্রশ্ন চাকরিটা কবে হবে? এর সঙ্গেই ধর্নামঞ্চে তাঁরা দিদিকে বলো কর্মসূচি পালন করেন।
এক আন্দোলনকারী আবুল হোসেন ঘরামি বলেন, সরকার কর্মসূচি নিয়েছে দিদিকে বলো। দিদির দূতকে পাড়ায় পাড়ায় পাঠানো হচ্ছে। এই আন্দোলন প্রথম যখন আমরা শুরু করেছিলাম তখন আমাদের কাছে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এসেছিলেন। তাঁরা বলেছিলেন তালিকায় থাকা সকলেই যাতে চাকরি পান সেটা দেখা হবে। ওনারা কথা রাখেননি। আমরা চাকরি পাননি। দিদির দূতেরা গ্রাম বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়েছেন। আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের দুর্নীতির কারণে আমরা আজ ধর্মতলায় দিনের পর দিন ধরে বসে আছি। দিদির দূতেদের এদিকে নজর নেই। সেকারণে আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিচ্ছি। তিনি নানা সময়ে বলেছেন যে তিনি নাকি জানেনই না। সেকারণেই তাঁকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়ে দিলাম। সেকারণেই আমরা গণচিঠি দিলাম। আমাদের দাবি আমরা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিলাম। আমরা ভেবেছিলাম কলকাতা জিপিওতে গিয়ে চিঠি পোস্ট করব। কিন্তু সেটার ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। আদালতের বারণ রয়েছে। সেকারণে আমাদের প্রতিনিধিরা গিয়ে চিঠি পোস্ট করবেন।
আন্দোলনকারীদের দাবি, নিয়োগের অপেক্ষায় প্রায় ৭০০ দিন পার করে দিয়েছি। তবুও নিয়োগ মেলেনি। নানা প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাতেও কাজের কাজ কিছু হয়নি। সেকারণেই এবার মুখ্যমন্ত্রীকে গণচিঠি।
এদিকে আন্দোলনকারীদের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নানাভাবে তাঁরা তাদের দাবির কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয়নি। এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গোছা গোছা চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ। কিন্তু সেই চিঠির উত্তরে নিয়োগপত্র মিলবে কি না, সেই চিঠির জবাব আদৌ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন কি না তা নিয়ে সংশয়টা থেকেই গিয়েছে।