পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
পঞ্চায়েত নির্বাচন কবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। তা নিয়ে অভিষেকের মন্তব্যের পর সেই জল্পনা জল পেয়ে আরও বেড়েছে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এক সভায় বলেন, 'তৃণমূলে নবজোয়ার' কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। জুনের শেষে অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা শেষ হচ্ছে। তার পরই কি তবে পঞ্চায়েত নির্বাচন?
রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২৮ মে অবসর নিচ্ছেন কমিশনার সৌরভ দাস। যদিও তার কার্যকালের মেয়াদ ২৮ মার্চই শেষ হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের কথা ভেবে তাঁর কার্যকালের মেয়াদ দু'মাস বাড়ানো হয়েছিল। কিন্তু এর মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়নি। ফলে আর তাঁর কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে নতুন কমিশনার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে না। তবে নবান্ন সূত্রে খবর, জুলায়ের শেষে বা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে পঞ্চায়েত ভোট হতে পারে। তার মধ্যেই নতুন কমিশনার নিয়োগ করতে পারে রাজ্য। এমনিতে পঞ্চায়তে ভোট নিয়ে সমস্ত প্রস্তুতি সেরে ফেলেছে নির্বাচন কমিশন। শুধু রাজ্য সরকারের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেলেই নিবার্চনের দিন ঘোষণা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
নতুন নির্বাচন কমিশনার হিসাবে দু'টি নাম উঠে আসছে। প্রথম নামটি হল রাজ্যের বর্তমান মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীর। তিনি আগামী ৩০ জুন অবসর নিচ্ছেন। তাঁকে নির্বাচন কমিশনার হিসাবে বসানো হতে পরে। আবার নবান্ন সূত্রে খবর, হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে আরও এক বছর মুখ্য সচিব রাখতে চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সরকার। সেক্ষেত্রে কেন্দ্র যদি অনুমতি দেয় তবে দ্বিবেদীকে আরও এক বছর মুখ্যসচিব থাকবেন। এমন নজির এর আগে বেশ কয়েকটি রাজ্যে দেখা গিয়েছে। আবার কেন্দ্র যদি অনুমতি না দেয় তবে তাঁকে নির্বাচন কমিশনারের পদে বসাতে পারে রাজ্য।
(পড়তে পারেন। ‘দলের ভিতরে ঢোকা আবর্জনা ভাসিয়ে দিতে হবে’, মুর্শিদাবাদ থেকে বার্তা অভিষেকের)
অপর নামটি হল রাজ্যের শিল্প পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা। তাঁকে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানো পরিকল্পনা শুরু করেছে রাজ্য। তবে নবান্নের আরও একটি সূত্র বলছে সম্ভাব্য নির্বাচন কমিশনারে তালিকায় আরও বেশ কয়েকজন সদ্য অবসরপ্রাপ্ত আমলার নাম রয়েছে।