৩৫ বছর পর ব্রিগেডে সমাবেশ করল এসইউসি। দলের প্রতিষ্ঠাতা শিবদাস ঘোষের জন্মশতবর্ষের সমাপ্তি অনুষ্ঠান উপলক্ষে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক প্রভাস ঘোষ মূল নিশানা করলেন সিপিএম-সহ বাম শরিক দলগুলিকে।
এ দিনের সভায় প্রভাস ঘোষ ছাড়াও দলের অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন,'পঞ্চাশের দশকে অভিভক্ত সিপিআই, আরএসপি, ফরওয়ার্ড ব্লক আমাদের বিদ্রুপ করে বলত, চামচিকে পাখি হলে এসইউসিও পার্টি! এখন সেই পার্টিগুলির কী অবস্থা?'
প্রভাস ঘোষের আক্রমণের লক্ষ্য ছিল সিপিএমও। গত বিধানসভা নির্বাচনে সিপিএম জোট করে কংগ্রেস ও আইএসএফের সঙ্গে। তার সমালোচনা করে প্রভাস ঘোষ বলেন, 'ঐক্যবদ্ধ সিপিআই লোকসভায় সর্ববৃহৎ বিরোধী রাজনৈতিক দল ছিল। ১৯৬৪ সালে সিপিএম তৈরি হওয়ার পর তারা কেরল, ত্রিপুরা ও পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসে। ১৯৭৭ সাল থেকে টানা ৩৪ বছর বাংলা ক্ষমতায় ছিল সিপিএম। এখন তাদের কী অবস্থা? বাংলায় নির্বাচনে শক্তি সঞ্চয়ের জন্য তারা কংগ্রেসের হাত ধরছে। ক্ষমতার জন্য একজন পীরকে ধর্মনিরপেক্ষ সাজিয়ে তাঁর হাত ধরছে।'
প্রভাস ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বিরোধী জোট 'ইন্ডিয়া'র প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, 'সর্বভারতীয় ইন্ডিয়া জোটে তৃণমূলও তাদের সঙ্গে রয়েছে। এখানে আবার তৃণমূলের সঙ্গে সিপিএমের লড়াই। এই হচ্ছে সিপিএমের অবস্থা।'
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস তৃণমূল জোটের শরিক ছিল এসইউসি। জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন দলে চিকিৎসক নেতা তরুণ মণ্ডল। পরে অবশ্য তৃণমূলের সঙ্গে দুরত্ব তৈরি হয় দলের। হাতছাড়া হয় জয়নগর কেন্দ্রও।
ক্ষমতার অলিন্দে না থেকেও কেন এত একটা দল টিকে রয়েছে। তার ব্যাখ্যা করে প্রভাস ঘোষ বলেন,'এসইউসি কখনও কোনও দুর্নীতি বা অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেনি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। তাই আমরা একক শক্তিতে আজও দাড়িয়ে রয়েছি। লড়াই করছি।'
শনিবারের এই ব্রিগেড সমাবেশে রাজ্যে বিভিন্ন জেলা থেকে সমর্থকরা আসেন। ভিনরাজ্য থেকেও দুটি ট্রেন ভাড়া করে সমর্থকদের আনা হয়।