হরিদেবপুরের নবপল্লির বাসিন্দা মামন দাস। একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। বয়স ১৭ বছর। স্বপ্ন ছিল এয়ারহোস্টেস হওয়ার। সেই মতো ইনস্টিটিউটে ভর্তিও হয়েছিলেন। ৮০ হাজার টাকা জমাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাকি ৩ লাখ টাকা তিনি জোগাড় করতে পারছিলেন না কিছুতেই। পরিবারের সদস্যরাও নানাভাবে চেষ্টা করছিলেন। কিন্তু বইও জোগাড় হচ্ছিল না। এরপরই মানসিক অবসাদে ডুবে যেতে শুরু করেন ওই ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১০ জুলাই বাড়িতে ঝগড়া হয়েছিল। এরপর স্থানীয় কালিমন্দিরের কাছে গিয়ে ঘুমের ওষুধ খান তিনি। ভিডিয়ো কলে ভাইকেও দেখান সেই ছবি।এরপরই তাকে অচৈতন্য় অবস্থায় পাওয়া যায়। বাসিন্দারা কোনওরকমে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পরে গত ১৩ জুলাই বন্ডে সই করে তাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়। কিন্তু আবারও ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেন তিনি। এরপর ১৫ জুলাই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মাঝপথেই থমকে গেল তাঁর বিমান সেবিকা হওয়ার স্বপ্ন।
পরিবারের দাবি, একের পর এক ব্যর্থতার জেরে হাসিখুসি মামুন দিনদিন কেমন যেন অবসাদে চলে যাচ্ছিল। ইদানিং ঘুমের ওষুধ খাওয়া শুরু করেছিল। কিন্তু তার পরিণতিতে যে এমন হবে তা কেউই ভাবতে পারেননি। অর্থটাই বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল তার কাছে। আর লড়াইটা চালাতে পারলেন না ওই ছাত্রী। এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।