সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ সম্ভব কি না তা জানতে এবার জোকা ESI হাসপাতালকে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে সিদ্ধান্ত জানাতে নির্দেশ দিল বিশেষ ED আদালত। শনিবার আদালতের নির্দেশে বলা হয়েছে, ইএসআই হাসপাতালের চিকিৎসকরা সম্মতি দিলে EDর হাতে তুলে দিতে হবে কালীঘাটের কাকুকে। হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচারের পর গত অগাস্ট থেকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কালীঘাটের কাকু। আদালতের নির্দেশ থাকলেও শারীরিক অসুস্থতা মানসিক চাপের কারণ দেখিয়ে EDকে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে দিচ্ছেন না SSKMএর চিকিৎসকরা।
নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সুজয়কৃষ্ণের কোম্পানিতে পৌঁছেছে কি না তা জানতে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ একান্ত প্রয়োজনীয়। এই দুর্নীতির তদন্তে সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করার আগে হাওড়ার শ্যামপুরের এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালান EDর গোয়েন্দারা। বাজেয়াপ্ত হয় বহু নথি ও তাঁর ফোন। তদন্তকারীদের দাবি, ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের মাধ্যমে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন। তাঁর ফোনে উদ্ধার হয় একটি কল রেকর্ডিং। তাতে সুজয়কৃষ্ণ ওই যুবককে ফোন থেকে যাবতীয় তথ্য মুছে ফেলতে বলছেন।
গত অগাস্টে সুজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বিয়োগ হয়। এর ফলে প্যারোলে মুক্তি পান তিনি। প্যারোল শেষে জেলে ফিরেই বুকে ব্যথা অনুভব করেন। চিকিৎসকরা জানান তাঁর হৃদযন্ত্রে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন। আদালতের কাছে বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করাতে চেয়ে আবেদন করেন সুজয়কৃষ্ণ। অনুমতি দেয় আদালত। বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কয়েক দিনের মধ্যেই ছুটি পেয়ে যান তিনি। এর পর তাঁকে ভর্তি করা হয় SSKM হাসপাতালে। গত অগাস্ট থেকে সেখানেই ভর্তি রয়েছেন তিনি।
অক্টোবরে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে ইডি। আদালত জানায়, যে কোনও জায়গায় সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে পারবে ইডি। এর পর সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চিকিৎসক ও যন্ত্রপাতি নিয়ে ২ বার SSKM হাসপাতালে হাজির হন ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু কাকুর দেখা পাননি তাঁরা। তার পর সুজয়কৃষ্ণের শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখতে ESI হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে তাঁকে পরীক্ষা করার আবেদন জানায় তদন্তকারী সংস্থা। সেই আবেদনে ছাড়পত্র দিল আদালত।