বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > CBI Investigation: ‘‌টেট তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন?’‌, সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই

CBI Investigation: ‘‌টেট তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন?’‌, সুপ্রিম ভর্ৎসনার মুখে পড়ল সিবিআই

আদালতে সিবিআইকে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টেই নয়, আলিপুর সিবিআই আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় সিবিআইকে। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ের আধ ঘণ্টা পরে সুবীরেশকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। তাতে বেজায় চটে যান ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ কামালউদ্দিন।

বাংলায় এখন উৎসবের আবহ। দুর্গাপুজোয় মেতে উঠেছে গোটা বাংলা। কিন্তু তাতে চর্চা কমেনি ইডি–সিবিআই নিয়ে। কারণ থেমে যায়নি নিয়োগ দুর্নীতি মামলা এবং তা নিয়ে সিবিআই তদন্ত। তবে এবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত নিয়ে আদালতে সিবিআইকে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। সরাসরি সুপ্রিম কোর্ট জানতে চেয়েছে, তদন্ত শেষ হবে কবে? আলিপুরের সিবিআই আদালতও মনে করছে তদন্তকারী সংস্থার কাজে ঢিলেমি রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার নিয়ে যখন তপ্ত রাজনীতির ময়দান, তখনই তদন্তে ঢিলেমির অভিযোগ উঠল সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে। যা তুলেছে স্বয়ং আদালত।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে সিবিআইকে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর মানিক ভট্টচার্যের মামলার শুনানি ছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে সিবিআই দাবি করে, টেট দুর্নীতির যাবতীয় দুর্নীতির মাথা মানিক ভট্টাচার্য। তাই তাঁকে হেফাজতে রাখা দরকার। এই কথা শুনেই সিবিআইয়ের উপর বিরক্তি প্রকাশ করেন দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর সূত্রের খবর, তখনই বেঞ্চের পক্ষ থেকে সিবিআইকে প্রশ্ন করা হয়, ‘‌টেট তদন্তে এত দেরি হচ্ছে কেন? সিবিআই দশকের পর দশক ধরে এক একটা মামলার তদন্ত করে কেন?’‌

তারপর ঠিক কী ঘটে আদালতে?‌ সূত্রের খবর, এই ভর্ৎসনা করে সর্বোচ্চ আদালত যে প্রশ্ন করে তার উত্তর দিতে পারেননি সিবিআইয়ের আইনজীবী। তখন বাধ্য হয়ে আদালত জানতে চায়, তদন্তে আর কত সময় লাগবে? এই প্রশ্নেরও নির্দিষ্ট তারিখ জানাতে পারেনি সিবিআই। তখন বিচারপতি বিরক্ত হয়ে বলেন, ‘‌আপনারা নির্দিষ্ট সময় বলুন। আদালত চায় না বছরের পর বছর তদন্ত চলুক।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ শুধু সুপ্রিম কোর্টেই নয়, আলিপুর সিবিআই আদালতেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে। সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টায় আলিপুর সিবিআই আদালতে তোলার কথা ছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের অন্তত আধ ঘণ্টা পরে সুবীরেশকে নিয়ে আদালতে পৌঁছন সিবিআই অফিসাররা। সূত্রের খবর, তাতে বেজায় চটে যান ভারপ্রাপ্ত বিচারক শেখ কামালউদ্দিন। কেন সুবীরেশকে আনতে দেরি হল?‌ তা জানতে চান তিনি। অফিসাররা বিচারককে জানান, রাস্তায় যানজট ছিল। তখন বিচারক বলেন, ‘‌নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালত হেঁটে এলেও এত দেরি হওয়ার কথা নয়।’‌ আবার সুবীরেশ তদন্তে সহযোগিতা করেছেন না বলে অভিযোগ করে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় সিবিআই। পাল্টা সওয়াল করে সুবীরেশের আইনজীবী বলেন, ‘‌আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও তাঁদের মক্কেলকে জেরার সময় আইনজীবীদের থাকতে দেওয়া হচ্ছে না।’‌ তখন সিবিআই আইনজীবী জানান, ২১ তারিখ সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জেরা করা হয়েছে। আর তখনই বিচারক প্রশ্ন করেন, ‘‌তার মানে এই পাঁচদিন সুবীরেশকে জেরা করা হয়নি? তা হলে তদন্তে অসহযোগিতার প্রশ্ন উঠছে কী করে?’‌ চুপ করে থাকেন সিবিআইয়ের আইনজীবী।

বন্ধ করুন