এবার বিধানসভা নির্বাচনের আগে আচমকাই বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন তৃণমূলের একাংশ। একসঙ্গে অনেকের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল দলের অন্দরে, এমনটা বলছিলেন তাঁরা। এমনকী তলায় তলায় বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন দলের কেউ কেউ। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল দলের অন্দরে। রাজনৈতিক মহলের মতে, ভোটের আগে সেই একইভাবে বেসুরো গেয়েছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য প্রবীর পাল। এমনকী গত ১০ই মার্চ তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বলেও খবর। এরপরই নড়েচড়ে বসেন একাধিক তৃণমূল নেতৃত্ব। তৎকালীন মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, সুজিত বসু, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, ফিরহাদ হাকিম তাঁকে নিরস্ত করতে নানা চেষ্টা করেন। এরপর কিছুটা হলেও নরম হন তিনি। কিন্তু তৃণমূলের একাংশের মতে, ভোটের ফলাফল বিশ্লেষন করলে দেখা যাচ্ছে যে ওয়ার্ডগুলির দায়িত্ব তাঁকে দেওয়া হয়েছিল সেখানে তৃণমূুলের লিড আগের তুলনায় কমেছে। তবে কী তিনি তলায় তলায় অন্তর্ঘাত করেছিলেন। এমনকী ভোটে এবার তিনি বিশেষ সক্রিয় ছিলেন না বলেও অভিযোগ। প্রথমে তাঁকে শোকজ করা হয়। তার জবাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁকে একেবারে বহিষ্কারের রাস্তায় হাঁটল তৃণমূল।
এদিকে এতসব কিছুর পরেও বাংলায় বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল। ভোটের আগে যাদের গলায় ছিল বেসুরো আওয়াজ তারা এখন তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধির জন্য তৎপর। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, দলে ফেরানোর ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব সুর নরম করলেও অত্যন্ত সতর্কভাবে পা ফেলতে চাইছে। ভোটের সময় দলের অন্দরে কারা অন্তর্ঘাত করেছিল বলে দল মনে করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই মালদা ও পূর্ব মেদিনীপুরে দল এভাবে একাধিক নেতা কর্মীকে সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এবার সেই একই ধারা বজায় রেখে দমদমের প্রবীর পালের উপরেও নেমে এল শাস্তির খাঁড়া।