সোমবারই ভুয়ো টিকা কাণ্ডের প্রতিবাদে পৌরনিগম ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছিল বিজেপির যুব মোর্চার ডাকে। নির্বাচনের পর প্রথমবার রাস্তায় নেমে বড় আকারে আন্দোলনের ডাক ছিল এটাই। সেই অভিযানে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। তবে দেখা মেলেনি বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। আর এপরই প্রশ্ন ওঠে কেন কর্মসূচিতে যোগ দিলেন না তিনি?
তবে নিজের নেতৃত্বের জানান দিয়ে সোমবার সন্ধ্যাতেই আহত মিহির গোস্বামীর সঙ্গে দেখা করে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর ফেসবুকে ছবি পোস্ট করে লেখেন, 'গতকাল বিজেপির কেএমসি অভিযানে কলকাতা পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন নাটাবাড়ির বর্ষীয়ান বিধায়ক মিহির গোস্বামী। ওনার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিতে গতকাল সন্ধ্যায় বাগদার বিধায়ক শ্রী বিশ্বজিৎ দাস ও পুরুলিয়ার বিধায়ক শ্রী সুদীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্য বিধায়ক হোস্টেলে যাই।'
উল্লেখ্য, অভিযানের পর স্বয়ং দিলীপ ঘোষকেও প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল যে শুভেন্দুবাবুর দেখা কেন মিলল না এই কর্মসূচিতে। দিলীপবাবু জানান, ন, এদিনের কর্মসূচিতে থাকার জন্য সকলকেই জানানো হয়েছিল। কিন্তু অনেক বিধায়ক, সাংসদ থাকলেও অনেকে ছিলেন না। যাঁরা থাকতে পারেননি। তাঁরা অন্য কর্মসূচিতে ছিলেন।
জানা গিয়েছে গতকাল শুভেন্দু পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুরে ছিলেন। সেখানের পরিস্থিতি সম্পর্কে শুভেন্দু এক পোস্টে লেখেন, 'আদালতের নির্দেশে ঘর ছাড়া বিজেপি কর্মীরা বাড়ি ফিরলে তৃণমূলের দুষ্কৃতিরা ব্যাপক মারধর করে। ঘর বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। বোমাবাজি ও হামলায় আহত কয়েকজনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আজ স্থানীয় বিধায়ক শ্রী রবীন্দ্রনাথ মাইতি কে নিয়ে নির্যাতিত পরিববারগুলির সাথে দেখা করে তাঁদের উপর পাশবিক অত্যাচারের বিবরণ শুনলাম, সাধ্যমতো অত্যাচারিত মানুষগুলির পাশে আছি।'