তাঁর রাজ্য বিজেপির সভাপতি হওয়ার জল্পনা খারিজ করে দিলেন বিরোধী দলনেতা সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে এই শীর্ষক একটি প্রতিবেদনের উল্লেখ করে প্রকাশনাটিকে ‘চটিচাটা’ বলে আক্রমণ করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই বাংলা প্রকাশনার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, শুভেন্দু অধিকারী ও সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে আলাদা বৈঠক করেছেন জেপি নড্ডা। বৃহস্পতিবার ফের শুভেন্দুবাবুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়েছে। তার পরই রাজ্য বিজেপির সংগঠনে রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে।
যত্নের কোনও খামতি রাখছেন না অন্য বন্দিরা, জেলেও সেলিব্রিটি অর্পিতা
প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, রদবদলে দলের রাজ্য সভাপতি হতে পারেন শুভেন্দু অধিকারী। সেক্ষেত্রে বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পেতে পারেন অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ি। সুকান্ত মজুমদারকে সংসদীয় দলের কোনও দায়িত্বে আনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে প্রতিবেদনটিতে। দিলীপ ঘোষ ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, রাজ্য বিজেপির অন্দরে সুকান্ত মজুমদার ও শুভেন্দু অধিকারীর মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। শুভেন্দু অধিকারীকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্ত নিতে বাধা দিচ্ছেন সুকান্ত ও অমিতাভ। শুভেন্দুকে রাজ্য সভাপতি করে দিলে সেই সমস্যা মিটবে। তবে এমনটা হলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে শুভেন্দুর লোকেরাই লোকসভা টিকিট পাবে। যার ফলে সুকান্ত মজুমদারের গোষ্ঠী এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছে।
‘অভিযোগ প্রমাণ হলে রাজনীতি ছেড়ে দেব’ সম্পত্তি বৃদ্ধি মামলা নিয়ে দাবি ব্রাত্যর
মঙ্গলবার বিকেলে এই প্রতিবাদের স্ক্রিনশট ফেসবুকে পোস্ট করেন শুভেন্দুবাবু। তার নীচে তিনি লিখেছেন, ‘চটিচাটা নিউজ পোর্টাল কেউ পড়ে না’।
বলে রাখি, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে রাজ্য বিজেপির নেতাদের ঘন ঘন দিল্লি যাত্রা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে বিজেপির তরফে এখনো এর কোনও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।