রাজ্যে স্কুল খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে আদালতের কাছে সময় চাইল সরকার। এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়েছে। রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করেছে হাই কোর্ট। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
এদিন শুনানিপর্বে আদালতের কাছে রাজ্য সরকারের তরফে আইনজীবী জানান, ‘১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ হয়েছে। ১৫ বছরের নীচে পড়ুয়াদের এখনও কোনও টিকাকরণ হয়নি। স্কুল খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকারও আগ্রহী। কিন্তু শিশুদের বিষয়ে অতিরিক্ত যত্নবান হওয়া প্রয়োজন। সেজন্য বিশেষজ্ঞদের মতামত নেওয়া হচ্ছে।’ এদিন স্কুল খোলার পক্ষে মামলাকারীর আইনজীবী জানান, ছাত্রছাত্রীরা মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে। আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে। শিক্ষকরাও বাড়িতে বসে বসে বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। করোনার জন্য চিরতরে স্কুল বন্ধ করে দেওয়া যায় না। অন্যান্য দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে গিয়েছে। চিকিৎসকরাও বলছেন, স্কুল খোলা দরকার। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে স্কুল খোলার বিষয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে দেওয়া দরকার। এদিন রাজ্য সরকারের তরফে হাই কোর্টের কাছে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। রাজ্যের আবেদন মেনে আদালত তা মঞ্জুর করেছে।
এর আগে স্কুল খোলার দাবিতে চারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে হাই কোর্টে। গত বৃহস্পতিবারও একজন শিক্ষক জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। এই চারটি মামলারই একসঙ্গে শুনানি ছিল এদিন। সম্প্রতি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, কবে রাজ্যে স্কুল খোলা যায়, সেবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজে ভাবনাচিন্তা করছেন। মুখ্যমন্ত্রীও চান স্কুল পুরোপুরি খুলে যাক। রাজ্যের তরফে যতই আশ্বাস দেওয়া হোক না কেন, বিজেপি সহ বিরোধী দল রাস্তায় নেমে স্কুল খোলার দাবিতে বিক্ষোভে সামিল হয়েছে।