শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব বাতিল হওয়ায় মন খারাপ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সেই বেদনা প্রকাশ করেন তিনি। দিলীপবাবুর মতে, অনুষ্ঠান বন্ধ না করে কিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিলেই ভাল হতো।
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘দোল তো আর রোজ রোজ হয় না। শান্তিনিকেতলে বহু মানুষের সমাগম হয়। আমার মনে হয় করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ব্যবস্থা নিলেই হতো। এতে আরও আতঙ্ক ছড়াবে। জনজীবন স্বাভাবিক রাখা উচিত ছিল।’
চলতি বছর বিশ্বভারতীর বসন্তোৎসব নিয়ে প্রথম থেকেই টানাপোড়েন চলছিল। প্রথমে বিশ্বভারতীর তরফে জানানো হয়েছিল এবার সর্বসাধারণের জন্য অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারবে না তারা। অনুষ্ঠানে সামিল হবেন শুধুমাত্র বিশ্বভারতীর পড়ুয়ারাই। পরে রাজ্য সরকারের হস্তক্ষেপে মেলার মাঠে সবার জন্য বসন্তোৎসবের আয়োজনে রাজি হয় বিশ্বভারতী। সেজন্য অর্থ বরাদ্দ করে রাজ্য সরকার। কিন্তু অনুষ্ঠানের মাত্র কয়েকদিন আগে বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর হাতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের উপদেশ। তাতে জানানো হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে কোনও রকম বড় জমায়েতে বিরত থাকা উচিত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।
সেই চিঠি পেয়ে শুক্রবার বৈঠকে বসে বিশ্বভারতীর কর্মসমিতি। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়, স্থগিত করা হল এবারের বসন্তোৎসব। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বসন্তোৎসব আয়োজনের ব্যাপারে ভেবে দেখা হবে বলে জানান উপাচার্য। এর পরই শুরু হয় মঞ্চ খোলার কাজ। কান্নায় ভেঙে পড়েন কলাভবনের বহু পড়ুয়া। কয়েক মাস ধরে মহড়া চালানোর পর অনুষ্ঠান স্থগিত হয়ে যাওয়ায় মন খারাপ প্রায় সবারই। তবে ভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এছাড়া রাস্তা নেই বলে সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন তাঁরা।