করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে দীর্ঘদিন স্কুলে না যাওয়ায় পড়ুয়াদের মধ্যে মানসিক সমস্যা দেখা দেওয়ার নানা তথ্য সামনে এসেছে। পাশাপাশি, পড়ুয়াদের চোখ, কান বা চর্ম রোগের সমস্যা হচ্ছে কিনা সে বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। এর জন্য এবার থেকে পড়ুয়াদের আলাদাভাবে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া প্রয়োজন নেই। এবার শিক্ষকরাই বলে দেবেন পড়ুয়াদের কি সমস্যা হয়েছে এবং তাদের কি চিকিৎসা করানো উচিত। স্কুল স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে এমনই উদ্যোগ নিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।
এর জন্য শিক্ষকদের বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এরইমধ্যে বহু শিক্ষককে এবিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি জেলা থেকে ২০০ থেকে আড়াইশো জন শিক্ষককে এনিয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি স্কুল থেকে প্রাথমিকভাবে একজন করে শিক্ষককে বেছে নিয়ে তাদের অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে তারাই স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবেন। এক্ষেত্রে তাঁরা ‘নোডাল টিচার’ হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ কিছুটা শেষ হয়েছে। এ ব্যাপারে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা। এই জেলার ৩২২ জন শিক্ষকের মধ্যে ২২৯ জন শিক্ষককে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ সম্পন্ন হয়েছে। জোর দেওয়া হচ্ছে মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলায় শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের বিষয়ে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের চোখের সমস্যা, কানের সমস্যা অথবা শিশুদের চর্ম রোগের সমস্যা দেখা দেয়। প্রাথমিকভাবে এই সমস্ত বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, শিশুদের মানসিক রোগ সংক্রান্ত বিষয়েও শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।