করোনা অতিমারিতে অনেকেই শরীরে প্রোটিনের যোগান বৃদ্ধির জন্য মুরগির দিকে ঝুঁকেছিলেন। অন্তত সপ্তাহে দুদিন একটু মুরগির মাংস খেতে চাইছিলেন অনেকেই। কিন্তু সেখানেও এবার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে মুরগির দাম বৃদ্ধি। বাসিন্দাদের দাবি, খাসির মাংসের প্রচন্ড দামের জন্য হাত ছোঁয়ানো যায় না। সেক্ষেত্রে মধ্যবিত্তের কাছে মুরগির মাংসই ছিল প্রাণীজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস। কিন্তু সেই মুরগির দামও বাড়ছে ক্রমশ। শুকনো মুখে বাজার থেকে বাড়ি ফিরছেন আম বাঙালি। মুরগির মাংসের দাম কবে কমবে সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন অনেকে।
বাজার ঘুরে দেখা যাচ্ছে হু হু করে বাড়ছে মুরগির দাম। ১৬০টাকা-১৮০ টাকার মুরগির দাম গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২২০ টাকা থেকে ২৪০ টাকা। বাজারে চিকেন কিনতে গিয়ে মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। সপ্তাহ শেষে একটু মাংস খাবেন সেক্ষেত্রেও এবার পকেটে টান বাসিন্দাদের। মাংস বিক্রেতাদের দাবি, ইয়াসের তাণ্ডবে একাধিক মুরগির খামার নষ্ট হয়ে গিয়েছে। এর জেরে বাজারে মুরগির যোগান কমে গিয়েছে। যার জেরে দাম বাড়ছে ।
আগে বিক্রেতারা পাইকারীদের কাছ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি দরে মুরগি কিনতেন। সেটাই এখন তাঁদের কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা দরে। তবে ক্রেতাদের দাবি কখনও বার্ড ফ্লু, কখনও ইয়াস, কখনও হোলি, কখনও আবার পুজোর দোহাই দিয়ে মুরগির দাম বৃদ্ধি করা হয়। এব্যাপারে সরকারি নজরদারিও থাকা দরকার।