প্রয়াত নাট্যব্যক্তিত্ব শাঁওলি মিত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। রবিবার দুপুর ৩.৪০ মিনিট নাগাদ কলকাতায় বেহালার বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। নাট্য কিংবদন্তি শম্ভু মিত্র ও তৃপ্তি মিত্রের যোগ্য কন্যা ছিলেন তিনি। পারিবারিক রীতি মেনে দেহ সৎকার শেষ হওয়ার আগে পর্যন্ত মৃত্যু সংবাদ কাউকে জানাতে নিষেধ করেছিলেন তিনি।
বাংলার রঙ্গমঞ্চ বছরের পর বছর মাতিয়ে রেখেছিলেন শাঁওলি মিত্র। পঞ্চম বৈদিকের একের পর এক নাটকে মঞ্চে ঝড় তুলেছেন তিনি। যুক্তি তক্ক আর গপ্পোয় বঙ্গবালার চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। ২০০৩ সালে সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার পান, ২০০৯ সালে পদ্মশ্রী পান তিনি।
সিঙুর আন্দোলনের সময় প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কৃষকদের সমর্থন করেছিলেন শাঁওলি মিত্র। বিরোধিতা করেছিলেন বাম সরকারের। এর পর বাংলা অকাদেমির প্রধান হন তিনি। ২০১৮ সালে হঠাৎ সেই পদে ইস্তফা দেন। শরীর ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকায় ২০২০ সালে একটি ইচ্ছাপত্র লেখেন শাঁওলি মিত্র। তাতে তিনি তাঁর অসম্পূর্ণ কাজ শেষ করার ভার দিয়ে যান অর্পিতা ঘোষের ওপর। সঙ্গে জানিয়ে যান, মৃত্যুর পর যেন মৃতদেহ কাউকে দেখানো না নয়। মৃতদেহের ওপর যেন ফুল না দেয় কেউ। এমনকী হাসপাতালে চিকিৎসা করাতেও অস্বীকার করেন তিনি।
রবিবার দুপুরে মৃত্যুর পর অত্যন্ত গোপনে সিরিটি শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। সেখানে হাজির ছিলেন অর্পিতা ঘোষ ও পরিবারের হাতে গোনা কয়েকজন। সৎকার শেষ হওয়ার পর তাঁর মৃত্যুসংবাদ প্রকাশ করা হয়।