দিনে দুপুরে একের পর এক চুরির ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন কলকাতা হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন রুম ১৮ এর সদস্যরা। আইনজীবীরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক মাস ধরে বার রুমের ভিতর থেকে একের পর এক জিনিস উধাও হয়ে যাচ্ছে। দিনের বেলায় সবার চোখের সামনেই হচ্ছে 'হাত সাফাই'। চুরির তালিকায় রয়েছে আইনজীবীদের কোর্ট গাউন থেকে শুরু করে পেন ড্রাইভ, হেলমেট, ব্যাগ, বই এমনকি মামলার নথিপত্র।
গত মঙ্গলবার নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর আইনজীবী অভিনব পাত্রের পেন ড্রাইভ খোয়া যাওয়ার পর বিষয়টি গড়ায় থানা পর্যন্ত। হেয়ার স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পাশপাশি কলকাতা হাইকোর্টে বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সম্পাদককে ১৮ নম্বর রুমের একাধিক সমস্যা নিয়ে চিঠি দিয়েছেন দেড়শোরও বেশি আইনজীবী। একের পর এক ঘটনায় স্তম্ভিত আইনজীবীরা। হাইকোর্ট বার ১৮-র সদস্য আইনজীবী সুচরিতা বিশ্বাস ও রুদ্র সিনহা বলেন, এই রুমে সদস্যরা ছাড়াও বাইরের লোক অযথা ভীড় করে থাকে। বললেও তারা বাইরে যান না। তাদের প্রশ্রয় দেন হতে গোনা এক শ্রেণির আইনজীবী। তাই চোর ধরা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। দেড়শোরও বেশি আইনজীবী মিলে অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদদকে চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু, এখনও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন আইনজীবীদের অনেকেই। আইনজীবী সৌম্যশ্রী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে ভাবা দরকার। চুরির বিষয়টি নিয়ে আমাদের সকলের সজাগ হওয়া দরকার। রুমের ভিতরে সিসিটিভি লাগানো সম্ভব হয় কিনা সেটাও দেখতে হবে।’
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন আইনজীবীরা বুধবার বিকেলে আলোচনায় বসেন। সেখানে বারের সদস্য নন যারা তাদের বারের ভিতরে বসে থাকা নিয়েও আলোচনা হয়। সমস্ত বিষয়ে বার অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে বলেও জানান তারা। হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কল্লোল মণ্ডলকে ধারাবাহিক চুরির বিষয়ে জানানো হয়। তিনিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এখন অ-সদস্যদের বার রুমে অবাধ যাতায়াত ও বসে থাকা বন্ধ করতে চাইছেন বার ১৮-র প্রকৃত সদস্যরা।