নারদকাণ্ডে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির মধ্যেই তাঁর বিজেপিতে থাকা, না থাকা নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। শোভন চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির সদস্যপদ থেকে পদত্যাগের কথা জানালেও বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অবশ্য বক্তব্য, তিনি কোনও পদত্যাগপত্র পাননি। স্বভাবতই শোভনের আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পরও তাঁর ঘনিষ্ঠ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিজেপির সঙ্গে তাঁদের কোনও সম্পর্ক নেই। এর আগে বেহালা পূর্ব কেন্দ্রে প্রার্থী না করার পরই বিজেপির সঙ্গে সম্পর্কে চিড় ধরে শোভনের।দলের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগড়ে দেন শোভন–বৈশাখী দুজনেই। শোভন চেয়েছিলেন, তাঁর পুরনো কেন্দ্র বেহালা পূর্ব থেকেই লড়তে। কিন্তু দলীয় নেতৃত্ব তাতে রাজি হননি। তাতেই দলীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন বলেও জানা গিয়েছে। পরে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও জানিয়েছিলেন, তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন।
যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, তিনি কোনও পদত্যাগপত্র পাননি। সেক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র না পাঠালে কীভাবে তাঁরা দলত্যাগ করবেন?একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, তাঁকে একটা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা পালন করেননি।মৌখিকভাবে তাঁরা জানিয়েছেন দল ছেড়ে দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে, শোভন যদি এখনও বিজেপির সদস্য হয়ে থাকেন, তাহলে দল তাঁর পাশে দাঁড়াচ্ছেন না কেন? এই প্রশ্নের জবাবও দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, যে নেতা নিজের থেকেই মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, তার পাশে থাকার প্রয়োজন মনে করেনি দল।