সুর সম্রাজ্ঞী লতা মঙ্গেশকরকে সম্মান জানাতে তাঁর নামে তৈরি হচ্ছে পার্ক। পাটুলির বি-ব্লকে এই পার্ক তৈরি করা হচ্ছে। শুধু পার্কই নয়, সেখানে বসছে লতা মঙ্গেশকরের মূর্তি। এছাড়া, বাংলার আরও ২ প্রয়াত কিংবদন্তি সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়ের নামেও পার্ক তৈরি করছে কলকাতা পুরসভা। দোল পূর্ণিমার আগেই এই পার্কগুলি চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এমনটাই জানিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার। প্রবাদপ্রতিম চিত্রশিল্পী নারায়ণ দেবনাথকে সম্মান জানানোর জন্যও তাঁর নামে একটি পার্ক তৈরি করা হচ্ছে।
এই পার্কগুলি নির্মাণের কাজ চলছে দ্রুত গতিতে। নারায়ণ দেবনাথের নামে উদ্যানের দেওয়ালে হাঁদা ভোঁদা, বাটুল দি গ্রেটের ছবি ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। পুরসভার অধিবেশনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘সঙ্গীত শিল্পীদের সম্মান জানাতে ইতিমধ্যেই সর্দান এভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে সঙ্গীত স্মরণে রাখা হয়েছে। যেখানে শচীন দেব বর্মণ, রাহুল দেব বর্মণ, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের মূর্তি নির্মাণ করা হয়েছে।’
এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের টাউনহলে একটি সংগ্রশালা তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে সংগ্রহশালার পাশাপাশি থাকছে গবেষণাগার। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম থেকে শুরু করে জয় গোস্বামীর বিভিন্ন সৃষ্টি এই গবেষণাগারে যেমন থাকছে তেমনিই কবি জয়দেব ঠাকুর, শ্রীরামকৃষ্ণ, ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, বামাক্ষ্যাপার বিভিন্ন সৃষ্টি এবং বিষয়ও রাখা হবে বলে পুরসভা সূত্রে খবর।
শিল্পী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে সম্মান জানাতে তাঁর বাড়ির পাশেই তাঁর নামে রাস্তার নামকরণের নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজও চলছে। পাশাপাশি বোরো চেয়ারম্যান রত্না শূর লতা মঙ্গেশকরের নামে সরণি করার প্রস্তাব দেন পুরসভার মাসিক অধিবেশনে।