একদিকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে প্রশ্নের বিনিময়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ। অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতারি করা হয়েছে দুর্নীতির মামলায়। এবার তা নিয়েই রীতিমতো অস্বস্তিতে তৃণমূল। তবে আমজনতার মধ্যে এনিয়ে যাতে বড় প্রভাব না পড়ে তার জন্য এবার নয়া পরিকল্পনা তৃণমূলের।
এবার বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে আমজনতার আরও কাছাকাছি পৌঁছতে চাইছে ঘাসফুল শিবির। রাজ্যের প্রতিটি জেলার সমস্ত ব্লক নেতৃত্বকে এব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৩১ অক্টোবর থেকে এই তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী শুরু হয়েছে। সেটা মোটামুটি ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চালানোর ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজয়া সম্মিলনীর মাধ্যমে দুর্নীতির অস্বস্তিতে দূর করতে চাইছে তৃণমূল। সামনে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে দলের অন্দরে যাতে কোনও ভাঙন না ধরে সেকারণে অত্যন্ত কৌশলী পদক্ষেপ নিচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তবে বিজেপির দাবি, এসব করে তৃণমূলের শেষ পর্যন্ত কিছু হবে না। কারণ তৃণমূলকে চিনে নিয়েছেন বাংলার মানুষ।
সূত্রের খবর, এবারের বিজয়া সম্মিলনীতে জনসংযোগের উপর জোর দিতে চাইছে তৃণমূল। এক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়ের উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
বাড়ির অন্দরমহলেও যাতে এই বিজয়ার শুভেচ্ছা পৌঁছে দেওয়া যায় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে জনসংযোগের উপর বিশেষভাবে জোর দেওয়া হচ্ছে। মূলত সাধারণ মানুষের সঙ্গে বন্ধনকে আরও দৃঢ় করার লক্ষ্যে নানা পরিকল্পনা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলের মধ্যে আদি আর নব্যের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করাটাও এবার বড় লক্ষ্য। কারণ এই দ্বন্দ্ব যদি বাড়তে থাকে তবে আখেরে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে এবার ঠিক করা হয়েছে সংকটের দিনে যে প্রবীণ তৃণমূল কর্মীরা দলকে চোখের মণির মতো রক্ষা করেছেন তাদের পাশে থাকতে হবে। তাঁদের সম্মান জানাতে হবে। নতুন যারা দলে এসেছেন তারা যাতে পুরানো তৃণমূল কর্মীদের সম্মান করেন তার ব্যবস্থাও করতে হবে।
সব মিলিয়ে দুর্নীতির অভিযোগকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে যাতে কোনও বিরুপ প্রতিক্রিয়া তৈরি না হয় সেটা দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষ যদি দলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন তাতে সমস্যা হতে পারে। সেকারণে স্থানীয় স্তরে দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে এবার বিজয়া সম্মিলনীর উপর জোর দিতে চাইছে শাসকদল।