বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা গতিবিধি শুরু করতেই তাঁদের বহিরাগত ছত্রী বাহিনী বলে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। বুধবার তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যসভায় তৃণমূল সাংসদ শুখেন্দুশেখর রায় বলেন, যে কোনও মূল্যে বিভাজন তৈরির চেষ্টা রুখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাদের কর্মীদের।
এদিন শুখেন্দুশেখর বলেন, ‘শান্তি ও উন্নতির পরিবেশ ধ্বংস করতে একদল বহিরাগত তাদের স্থানীয় এজেন্টদের মাধ্যমে উদ্গ্রীব হয়ে উঠেছে। সমস্ত গণতান্ত্রিক রীতি জলাঞ্জলি দিয়ে যে ভাষায় বাংলার রাজনৈতিক পরিবেশকে কলুসিত করা হচ্ছে তাকে যে কোনও মূল্যে প্রতিহত করতে হবে। বাংলায় ফের চলবে না চলছে না, জ্বালিয়ে দাও পুড়িয়ে দাও রাজনীতি চালু করতে চাইছে তারা’।
এর পরই পশ্চিমবঙ্গে অবস্থানরত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের সরাসরি আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘এই যে বহিরাগত ব্রিগেড বা ছত্রী বাহিনী বাংলায় এসে দখল করার চেষ্টা চালাচ্ছেন বাংলার মানুষ এর প্রতিরোধ করবেন। এই যে ছত্রী বাহিনী দেখতে হবে এরা কি দাঙ্গা বাঁধানোর উদ্দেশে এসেছে, বিভাজন সৃষ্টির উদ্দেশে এসেছে, না ঘোড়া কেনাবেচার উদ্দেশে এসেছে। আমাদের কর্মীদের বলা হয়েছে সতর্ক থাকতে ও এদের ওপর কড়া নজর রাখতে। যেখানেই এরা কোনও ধরণের বিভাজন তৈরির চেষ্টা করবে সেখানে সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিহত করতে কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরা বাংলার কৃষ্টি সংস্কৃতি ঐতিহ্য পরম্পরা সম্পর্কে অবহিত নয়’।
পালটা জবাব দিয়েছেন এরাজ্যে বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়ও। তিনি বলেন. ‘অর্বাচীনের মতো কথা। চিনের থেকে তো কেউ আসেনি। তাহলে বহিরাগত কে? বাংলাদেশ থেকে লোক এলে স্বাগত, আর আমরা বহিরাগত? এই ধরণের অসভ্য বক্তব্যের নিন্দা করি’।
বলে রাখি, মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সেরে বুধবার থেকেই বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতিতে পুরোদমে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। রাজ্যকে ৫টি জোনে ভাগ করে প্রতিটি জোনের জন্য নিয়োগ করা হয়েছে এক এক জন পর্যবেক্ষক। যাদের পাঠানো হয়েছে দিল্লি থেকে। বুধবার থেকেই নিজেদের জোনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন তাঁরা।