একুশের নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেস–বিজেপির মধ্যে নানা বিষয়ে সংঘাত লেগেই রযেছে। এবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারী–রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিলেন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে কেউ গিয়েছিলেন সিবিআই থেকে বাঁচতে। আবার কেউ গিয়েছিলেন পাওয়ার লোভে। নীতি–আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়ে ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতেই অনেকে বিজেপিতে নাম লিখিয়েছিলেন। আজ ওঁদের অবস্থা কী তা তাঁরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন।’
একুশের নির্বাচনের প্রচারে বিজেপি যেমন আস্ফালন দেখিয়েছিল তেমনই তাকে পাল্টা জবাব দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিজেপিতে ভাঙন ধরেছে। আবার যাঁরা বিজেপিতে ভিড় করেছিলেন তাঁদের অনেকেই ফিরতে চান। এই পরিস্থিতিতে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলায় বিজেপির কোনও স্থান নেই। সাম্প্রদায়িক দল। শান্তির বাংলাকে শুধু অশান্তি ছড়ানোর চালাচ্ছে ওরা। বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ বিজেপিকে বুঝিয়ে দিয়েছেন যে বাংলায় বিজেপির কোনও স্থান নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়তেই আস্থা রেখেছেন মানুষ।’
নয়াদিল্লিতে জেপি নড্ডা–দিলীপ ঘোষের মধ্যে বৈঠক নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘এটা ওঁদের দলের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। বৈঠক করতেই পারেন। তবে আগামী দিনে বাংলায় বিজেপি করার মতো কেউ থাকবে না।’ আলিপুরের গোপালনগর কল্যাণ সংঘ আয়োজিত ৭৮ পল্লী দুর্গোৎসবের খুঁটি পুজোর অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে সাংবাদিকদের কাছে বিজেপির বিরুদ্ধে এভাবেই তোপ দাগেন তিনি।
উল্লেখ্য, রাজ্য বিজেপিতে সাংগঠনিক রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই নিয়ে জেপি নড্ডা ও দিলীপ ঘোষের এই বৈঠক হওয়ায় নানা জল্পনা ছড়িয়েছিল। সংগঠনের কোন কোন স্তরে বদল আনা হবে, বা কোথায় বদল প্রয়োজন, এসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যদিও বৈঠক শেষে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি বলে দাবি করেন দিলীপবাবু।