চনন্দনগরে তৃণমূল নেতার শরীরে ধরা পড়ল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। রবিবার শহর তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতির শরীরে মিলেছে করোনার সংক্রমণ। এর জেরে সংস্পর্শে আসা ৭০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন। বন্ধ রাখা হয়েছে চনন্দনগর মহকুমা হাসপাতালের কয়েকটি ওয়ার্ডও।
দিন দুয়েক আগে চন্দননগরে ২ জনের দেহে করোনা সংক্রমণ মিলেছিল। সেই ঝড় কাটতে না-কাটতে এবার তৃণমূল সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় চিন্তায় প্রশাসনিক আধিকারিকরা। কারণ, ওই নেতা বাড়িবাড়ি ঘুরে ত্রাণ বিলি করেছিলেন। স্থানীয় লঙ্গরখানার দায়িত্বেও ছিলেন তিনি। রান্না করা খাবার মানুষের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে সেখান থেকে তৃণমূলের স্থানীয় আরও বেশ কয়েকজন নেতার শরীরে সংক্রমণ ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা।
এছাড়া তৃণমূলের ওই নেতা চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে সময় কাটাতেন। সেজন্য হাসপাতালের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড বন্ধ করে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হচ্ছে।
তৃণমূল নেতার থেকে এলাকায় আরও মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এত মানুষকে চিহ্নিত করে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানোও কার্যত অসম্ভব। তাই গোটা এলাকা সিল করে দিয়েছে প্রশাসন।