একুশের নির্বাচনের ঠিক প্রাক্কালে তাঁদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে তথাগত রায় কটাক্ষ করে টুইট করেছিলেন, ‘নগরের নটিরা টাকা নিয়ে কেলি করেছে।’ এই টুইট রাজ্য–রাজনীতিতে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। এবার শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় পদ্মবন ত্যাগ করেছে। তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রকাশ্যে অভিনেত্রীকে তৃণমূল কংগ্রেসে স্বাগত জানালেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র। কালারফুল নেতা মদনের কালারফুল প্রস্তাবে এখনও সাড়া দেননি তিনি।
বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েও হেরে যান অভিনেত্রী। বৃহস্পতিবার হাওড়ায় জগদ্ধার্থী পুজোয় গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র। সেখানেই শ্রাবন্তীর বিজেপি ত্যাগ নিয়ে মুখ খোলেন বিধায়ক। তিনি বলেন, ‘বাড়ি থেকে বেরিয়েই দেখলাম শ্রাবন্তী বিজেপি ছেড়েছেন। ওটা দেখে আমার মনে হল… মদন মিত্র আজ যা ভাবে, বাকি রাজনীতিবিদরা তা ভাবে বহুদিন পড়ে।’ টুইট করেন মদন মিত্র। আর শ্রাবন্তীকে ট্যাগ করে লেখেন, ‘ওহ লাভলি!’
বিজেপি ত্যাগের বিষয়ে শ্রাবন্তী কী লিখেছেন? বিজেপি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেন নায়িকা। টুইটে শ্রাবন্তী লেখেন, ‘বিজেপি নামক যে রাজনৈতিক দলের হয়ে শেষবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলাম, সেই দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। কারণ, বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের উদ্যোগ ও আন্তরিকতার অভাব।’ তারপরই মদন মিত্র বলেন, ‘দেরি নয়…চলে আসুন, স্বাগত।’
উল্লেখ্য, গত অগস্ট মাসে শ্রাবন্তীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বার্তা সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে নায়িকা লিখেছিলেন, ‘জন্মদিনে এটাই তাঁর সেরা উপহার।’ গত ১ মার্চ বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের প্রার্থীও হন। নির্বাচনে তাঁর বিপক্ষে ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা। শ্রাবন্তীর হয়ে প্রচারে এসেছিলেন খোদ অমিত শাহ। তারপরেই হেরে যান তিনি।