শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকে থাকেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলাইকুণ্ডায় রিভিউ বৈঠকে না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর হাতে তুলে দেন রাজ্যের ক্ষয়ক্ষতি সংক্রান্ত রিপোর্ট। মুখ্যমন্ত্রীর রিভিউ বৈঠকে যোগ না দেওয়া নিয়ে দফায় দফায় বাকযুদ্ধ শুরু হয়। প্রত্যেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপিশাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা টুইট করে সমালোচনা করতে থাকেন। যার অগ্রভাগে ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাক্রম অবাক করে দেওয়ার মতো। প্রধানমন্ত্রী–মুখ্যমন্ত্রী কোনও ব্যক্তি নন সংস্থা। সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধতার শপথ নিয়ে তাঁরা দায়িত্বগ্রহণ করেন।’ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সমালোচনার পর তাঁকে পাল্টা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘প্রশাসনিক রিভিউ বৈঠকে আপনার সরকার, বিরোধী নেতাদের আলোচনার জন্য ডেকেছিল। রাজ্যের হয়ে কে প্রতিনিধিত্ব করবেন তা স্থির করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী নন।’
এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী নিজের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার চেষ্টা করছেন। রাজ্যপালের কোন কাজ নেই ওনার চিকিৎসার প্রয়োজন।
মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতির সমালোচনা করে ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মমতা দিদি একটি দুর্ভাগ্যজনক কাজ করেছেন। ঘূর্ণিঝড় ইয়াস–এ বহু মানুষের ক্ষতি করেছে। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের সাহায্য করাই কর্তব্য। কিন্তু মানুষের সেবার পরিবর্তে নিজের দম্ভকেই প্রধান্য দিলেন দিদি। আজকের ঘটনা থেকে সেটাই প্রমাণিত।’