সিবিআই–ইডি থেকে বাঁচতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সারদা–মারদ দুই ক্ষেত্রেই জড়িয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এই পরিস্থিতিতে সারদা–কর্তা সুদীপ্ত সেন মুখ খুলেছেন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। আদালতে জানিয়েছেন টাকা নেওয়ার কথা। আর তারপরই শুভেন্দু অধিকারী এখনও কেন গ্রেফতার নয়? এই প্রশ্ন তুলে আজ, সোমবার অলআউট খেলতে নামছে তৃণমূল কংগ্রেস।
কী ঘটতে চলেছে রাজ্যে? তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে সিবিআই দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখাবে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে থাকছেন বালিগঞ্জের বিধায়ক বাবুল সুপ্রিয়, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ, যুব রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এবং তৃণমূল ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। একই সময়ে হলদিয়াতে বিক্ষোভ দেখাবেন পঞ্চায়েত প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা, জলসম্পদ উন্নয়নমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুভেন্দুকে ঘিরে আর কী হবে? জানা গিয়েছে, বিক্ষোভ দেখানো হবে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির কাছে। কাঁথিতে বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃত্ব দেবেন মৎস্যমন্ত্রী তথা রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি। আর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসের আটজনের প্রতিনিধি দল সোমবার রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে যাবেন। সেখানেও শুভেন্দুর দুর্নীতি তোলা হবে।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? গত শুক্রবার বিধাননগরের সাংসদ-বিধায়কদের বিশেষ আদালতে হাজিরা দিতে আসেন সারদা–কর্তা সুদীপ্ত সেন। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছিলেন, তাঁকে ‘ব্ল্যাকমেল’ করে দিনের পর দিন টাকা নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে তিনি আদালতে চিঠি দিয়েছেন। আবার নারদ কাণ্ডেও নাম রয়েছে নন্দীগ্রামের বিধায়কের। তাই আজ, সোমবার থেকে ধারাবাহিক শুভেন্দুর গ্রেফতারির দাবিতে আন্দোলনে নামতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।