কয়েকদিন আগেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার দুটি খালি আসনের নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মতামত জানতে চায় নির্বাচন কমিশন। তখন তাতে সবুজ সংকেতের পাশাপাশি রাজ্যের সাত বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন দ্রুত করার বিষয়েও সওয়াল করা হয়েছিল। যা নিয়ে এখনও পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। তাই এবার উপনির্বাচনের দাবি নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।
এই উপনির্বাচন নিয়ে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরব হতে দেখা গিয়েছিল। কিন্তু তাতে পরিস্থিতি বদলায়নি। এমনকী চিঠি লেখা হলেও তার উত্তর মেলেনি। রাজ্যের সাত বিধানসভা কেন্দ্রে দ্রুত উপনির্বাচন নিয়ে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের দফতরেও একই দাবি জানাতে চলেছে তাঁরা। এমনকী উপনির্বাচনের আগে সাতদিন প্রচারের সময় দিয়ে তা করা হোক বলেও দাবি জানানো হবে।
সূত্রের খবর, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সুখেন্দুশেখর রায়, সৌগত রায়ের মতো হোভিওয়েট সাংসদরা যেতে পারেন। কিছুদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘উপনির্বাচনের জন্য বেশি দিন প্রয়োজন নেই। আমরা প্রস্তুত আছি। তবে প্রধানমন্ত্রীর ইঙ্গিত না পেলে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অনুমতি দেবে না। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, আমাদের উপনির্বাচনটা করে দিন।’ অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন প্রধানমন্ত্রীর কথায় চলে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। একুশের নির্বাচনের সময় থেকে এই কথা বলছেন তিনি।
উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনের আগেই দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয় মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরে। নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগেই মৃত্যু হয় খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কাজল সরকারেরও। আর ফলপ্রকাশের পর বিজেপি বিধায়ক পদ ছাড়েন নিশীথ প্রামাণিক এবং জগন্নাথ সরকার। আবার ভবানীপুর আসনটি ছেড়ে দেন জয়ী বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাই সাতটি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। যা দ্রুত চায় তৃণমূল কংগ্রেস। এখন কোভিড পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এখনই উপনির্বাচন করার উপযুক্ত সময় বলে মনে করছে ঘাসফুল শিবির।