তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদদের আজ ‘বিশেষ বার্তা’ পাঠিয়েছেন লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিশেষ বার্তায় বলা হয়েছে, লোকসভার কোনও সাংসদ দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ‘লিডার’–কে না জানিয়ে কোথাও সই করবেন না। এই বার্তা পাওয়ার পরই সাংসদদের অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়ে যায়। মুখে কেউ কিছু না বললেও এই বিষয়ে সকলেই নিশ্চিত— ওই বার্তা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় সংক্রান্ত। কারণ তিনি এখন লোকসভার মুখ্যসচেতক পদে রয়েছেন।
কিন্তু এখানে লিডার কে? এই বিষয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নির্দিষ্ট নাম উল্লেখ করেননি। তাই ধরে নেওয়া হচ্ছে লিডার বলতে তিনি সর্বোচ্চ নেতৃত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়েছেন। আবার লোকসভার দলনেতা তিনি নিজেই। তাই তাঁকে জানিয়ে কাজ করতে হবে বলতে চেয়েছেন। এই দুটি মত এখন উঠে আসছে।
কিন্তু কেন এই বিশেষ বার্তা? সূত্রের খবর, কল্যাণের বিরুদ্ধে বা পক্ষে একজোট হয়ে কোনও চিঠি দলীয় নেতৃত্বকে সাংসদরা দিতে পারেন। এই আশঙ্কা থেকে ওই বার্তা পাঠানো হয়েছে। আর এই ধরণের চিঠিতে সই আটকাতেই এই বিশেষ বার্তা দিলেন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া কাউকে কোনও অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কোথাও সই করতে নিষেধ করা হয়েছে।
পরিস্থিতি এখন বেশ জটিল হয়ে পড়েছে। তাই কল্যাণ বাকি সাংসদদের নিয়ে জোট বেঁধে চিঠি সই করিয়ে দলকে চাপে ফেলতে পারে। এই বিশেষ বার্তার ফলে তা মোটামুটি আটকে দেওযা গেল বলে মনে করছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। এখন কল্যাণকে নিয়ে দলের অন্দরে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্যসভার ক্ষেত্রে তেমন কিছু করা হয়নি।