বিধানসভায় এক ইঞ্চি জমি ছাড়া হবে না বিজেপিকে। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের সব বিধায়ককে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। একুশের নির্বাচনে দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে জয়লাভ করে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই বিধানসভা ভবনের অন্দরে কোনও সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না রাজ্যের শাসকদল। শুক্রবার বিধানসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে বৃহস্পতিবার হুইপ জারি করে সব বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করেছে শাসকদল।
সপ্তদশ বিধানসভার বাজেট অধিবেশন শুরুর আগের দিন সব বিধায়কদের কাছে নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। কোনওভাবেই রাশ আলগা করতে চাইছে না তাঁরা। এমনকী উপস্থিতি নিয়ে হুইপ জারি করা হয়েছে। এসএমএস পাঠিয়ে সব বিধায়কদের জানানো হয়েছে, শুক্রবার দুপুর ২টোয় রাজ্যপালের ভাষণ দিয়ে অধিবেশন শুরু হবে। তার অন্তত ১৫ মিনিট আগে যেন প্রত্যেক বিধায়ক নিজের নির্ধারিত আসনে পৌঁছে যান। আর প্রতিটি বিষয়ে যেন তাঁরা অংশ নেন। এই হুইপ জারিকে একপ্রকার প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন হিসেবেই দেখছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
বিরোধী পক্ষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিধানসভায় গঠনমূলক সহযোগিতার বদলে সংঘাতের রাস্তায় হাঁটবেন তাঁরা। তারই পাঠ নিতে শুভেন্দু অধিকারী আজ দিল্লি গিয়েছেন। বৈঠক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। বিধানসভায় এবার মুকুল রায় বিজেপির কাছে কাঁটা হয়ে দাঁড়াতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। খাতায়–কলমে বিজেপির এই বিধায়কের নাম আবার পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির জন্য তৃণমূল কংগ্রেসোর পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে বিধানসভাতেও বিরোধিতার আবহ সপ্তমে থাকতে পারে বলেই মনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই হুইপ জারি বলে মনে করা হচ্ছে।