সনাতন রায়চৌধুরীকে ঘিরে ক্রমেই উঠে আসছে একের পর এক তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদের একটি রসিদ পাওয়া গিয়েছে তার কাছ থেকে। বিজেপির কোন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। সেব্যাপারে তথ্য চেয়ে বিজেপির কাছে চিঠি পাঠাবে পুলিশ পাশাপাশি সনাতনের দুটি ইমেইলের ইনবক্স খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। কেন্দ্র ও রাজ্যের একাধিক এজেন্সির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন সনাতন। কিন্তু কীভাবে বিনা বাধায় বিভিন্ন মহলে সনাতনের যাতায়াত ছিল সেটাই ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। এদিকে পুলিশ সূত্রে খবর, সিবিআই ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সনাতন তাঁদের কৌশলী নয়। তবে এক্ষেত্রে ভুয়ো পরিচয় দিয়েই প্রতারণার জাল বুনেছিল সনাতন, অভিযোগ এমনটাই। তবে বিপুল টাকা সে কোথা থেকে পেত সেটাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
তবে শুধু তাই নয়, পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় সনাতন দাবি করেছে ২০১৮সালে জোহেন্সবার্গে ব্রিকস সম্মেলেন যোগ দিয়েছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিনিধি ছিলেন তিনি।দাবি সনাতনের কিন্তু সত্য়ি কি তিনি ওই সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন? সেব্যাপারে জানাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও বিদেশমন্ত্রকের কাছে চিঠি পাঠাবেন তদন্তকারীরা। তিনি নাকি টোকিওতে ভারতীয় প্রতিনিধি হিসাবে ২০১৩ সালে ইন্দো জাপান বিজনেস মিটেও গিয়েছিলেন। আর কতদূর বিস্তৃত ছিল সনাতনের হাত সেটাই জানতে চাইছেন তদন্তকারীরা। রাজনীতি থেকে প্রশাসন সর্বত্র অবাধ বিচরণ ছিল সনাতনের, অভিযোগ এমনটাই।