জেল থেকে চিঠি লিখেছিলেন সারদাকর্তা সুদীপ্ত সেন। তাঁর সেই চিঠিতে ছিল কাঁথি পুরসভার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ। সুদীপ্ত সেন চিঠিতে অভিযোগ করেছিলেন, একটি নির্মাণ করার জন্য কাঁথি পুরসভা তাঁর কাছে থেকে ৫০ লাখ টাকা নিয়েছিল। তাঁর লেখা সেই চিঠিতে ছিল শুভেন্দু অধিকারীর নাম। এবার সেই চিঠিই সিবিআইকে পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত বলে দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। ওই চিঠি নিয়ে তদন্তের আবেদন জানান কুণাল ঘোষ। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কাঁথি পুরসভা নিয়ে সারদাকর্তার লেখা চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর নির্দেশ দিল আদালত।
ঠিক কী দাবি ছিল সারদাকর্তার? এই চিঠি নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। যদিও তখন শুভেন্দু অধিকারী এইসব অস্বীকার করেছিলেন। সারদাকর্তার দাবি ছিল, ‘শুভেন্দু অধিকারী নানাভাবে টাকা তুলেছে। কন্টাইতে আমাদের একটা হাইরাইজ করার জন্য কাঁথি পুরসভায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা করেছিলাম। সমস্ত কাজকর্ম যখন শেষ করলাম তারপরেও তিনি আমাদের প্ল্যান পাশ করাননি। আগেও ৯০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। কন্টাই পুরসভায় টাকা জমা করেছিলাম।’ এই নিয়ে মামলা হয়েছিল।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এদিকে সিএমএম এজলাসে সারদাকর্তার লেখা চিঠির উপর তদন্তের দাবিতে পিটিশন দাখিল করেছিলেন কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী। আজ বুধবার আদালত শুনানির পর বিষয়টি নিয়ে সিবিআইকে তদন্তের জন্য পাঠানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। ৫০ লক্ষ টাকার একটি ড্রাফট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। সেই চিঠিতে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ছিল। এই নিয়ে কুণাল ঘোষের আইনজীবী অয়ন চক্রবর্তী আদালতের দ্বারস্থ হয়ে আবেদন করেন, ওই চিঠি সিবিআইকে তদন্তের জন্য দেওয়া হোক। কারণ সিবিআই সারদা মামলার তদন্ত হচ্ছে। আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেছে বলে দাবি আইনজীবীর।
ঠিক কী বলছেন কুণাল ঘোষ? অন্যদিকে এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া নিয়ে বিজেপি থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে ওই চিঠি নিয়ে কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন একটি চিঠি আদালতে দিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারী ও অধিকারী ব্রাদার্স তাঁকে কীভাবে শোষণ করেছে, ব্ল্যাকমেইল করেছে, তোলাবাজি করেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে যে কাঁথি পুরসভায় এক্তিয়ার বহির্ভূত অনুমোদনের আশ্বাস দিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ড্রাফট নেওয়া হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা ক্যাশ নেওয়া হয়েছে। এখন ব্যাঙ্ক ড্রাফট মানে সেটা তো নথি। সেটা তো থাকবে। সেটা কেন সিবিআই–ইডি তদন্ত করছে না?’