বাইপাস মেট্রোর স্তম্ভ নির্মাণের সময় কোন পথে গাড়ি যাবে? স্বাভাবিক যান চলাচলের উপর কতটা প্রভাব পড়বে? তা খতিয়ে দেখতে চিংড়িঘাটা মোড়ে 'ট্রায়াল' শুরু করল পুলিশ। সেই ট্রায়ালের জন্য আগামী সোমবার পর্যন্ত কলকাতা ও তথ্যপ্রযুক্তি হাব সল্টলেকের সংযোগকারী চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ের একাংশ রুদ্ধ থাকবে। পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার পর্যন্ত অন্যতম ব্যস্ত চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে কীভাবে যানবাহন চলাচল করে, সেটার দিকে কড়া নজর রাখা হবে। পাঁচদিনের ট্রায়ালের উপর ভিত্তি করেই নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের (অরেঞ্জ লাইন) নিউ গড়িয়া-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশের শেষ মেট্রোর স্তম্ভ (৩১৯ নম্বর স্তম্ভ) নির্মাণের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেডের (আরভিএনএল) হাতে ওই জায়গা তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
এমনিতে দীর্ঘদিন ধরেই ৩১৯ নম্বর স্তম্ভ নির্মাণের জন্য পুলিশের থেকে ওই জায়গা চেয়ে আসছে আরভিএনএল। তারইমধ্যে ২৪ জানুয়ারি চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে পরিদর্শন সারেন আরভিএনএল, কলকাতা পুরনিগম এবং কলকাতা মেট্রোপলিটন ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (কেএমডিএ) প্রতিবনিধিরা। সঙ্গে ছিলেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারাও। সেই পরিদর্শনের পর ২১ ফেব্রুয়ারি চিংড়িঘাটা ক্রসিংয়ে ট্রায়ালের অনুমতি দিয়েছে পুলিশ। তারপরই পাঁচদিনের ট্রায়াল শুরু হয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত কোন রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘোরানো হচ্ছে?
১) যে ছোট গাড়িগুলি নিউ টাউন এবং সল্টলেক সেক্টর ফাইভের দিকে যাবে, সেগুলিকে সল্টলেক স্টেডিয়াম রোড বা ব্রডওয়ে বা জলবায়ু বিহার হয়ে ঘুরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২) নিউ টাউন বা সল্টলেক সেক্টর ফাইভগামী বাসগুলিকে ব্রডওয়ের রাস্তা ধরতে হবে।
৩) নিউ টাউনগামী গাড়ির জন্য সল্টলেক বাইপাস রুদ্ধ করা হয়েছে। যে গাড়িগুলি উল্টোডাঙা থেকে আসছে, সেগুলিকে জলবায়ু বিহারের সামনের সার্ভিস রোড দিয়ে বেরিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
আরভিএনএলের কর্তারা জানিয়েছেন, পাঁচদিনের ট্রায়ালের পরিপ্রেক্ষিতেই ৩১৯ নম্বর স্তম্ভ নির্মাণের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে পুলিশ। চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়ে গেলেই ৭৫ দিনের জন্য ইএম বাইপাসের চিংড়িঘাটা মোড়ে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে নিউ গড়িয়া-বিমানবন্দর মেট্রো করিডরের নিউ গড়িয়া-সল্টলেক সেক্টর ফাইভ অংশের শেষ স্তম্ভ তৈরি করা হবে। যে স্তম্ভ নির্মাণের জন্য ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আইআইটি) খড়্গপুরের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হয়েছে। সেইমতোই নির্মাণের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে।