রাজ্য সরকার বাস ভাড়া বেঁধে দিয়েছে। তা সত্ত্বেও বেসরকারি বসে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ উঠছে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টেও জনস্বার্থ মামলা চলছে। এই অবস্থায় অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল পরিবহণ দফতর। সে ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বাসের বিরুদ্ধে বেশি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্য প্রমাণ দিতে পারলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। একইসঙ্গে, বেসরকারি বাস মালিকদের ভাড়া বাড়ানোর দাবি দীর্ঘদিন হলেও আপাতত বাস ভাড়া বাড়ানো যাবে না বলে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বাস ভাড়া কি বাড়ছে? স্পষ্ট ঘোষণা করে দিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী
রাজ্যে বেসরকারি বাসের ভাড়া বেড়েছিল ২০১৮ সালে। সেই সময় বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া বাড়িয়ে করা হয়ে ছিল ৭ টাকা এবং মিনিবাসের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ভাড়া করা হয় ১০ টাকা। সেই চার্ট অনুযায়ীই ভাড়া নিতে হবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। তিনি জানান, রাজ্য সরকার কোনওভাবে বাস ভাড়া বাড়াতে চায় না। প্রয়োজনে রাজ্য সরকার ভর্তুকি দিয়ে বাস চালাবে তবে সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে বাস ভাড়া বাড়াতে চায়না রাজ্য সরকার। এর জন্য রাজ্য সরকারের ক্ষতিও হচ্ছে। তবে বেসরকারি বাসগুলি চায় লাভ করতে। তিনি জানান, সরকারের তরফে ভাড়া নির্ধারণ করা হলেও বেশ কিছু জায়গায় অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বেশ কিছু অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তার ভিত্তিতে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তথ্য প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে আগে। যে চার্ট রয়েছে সেই চার্ট অনুযায়ীই ভাড়া নিতে হবে।
বেসরকারি বাস মালিকরা দীর্ঘদিন ধরেই ভাড়া বাড়ানোর দাবি তুলে আসছেন। তাদের বক্তব্য, জ্বালানি তেলের দাম আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে ল। কিন্তু সেই হারে বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না হওয়ার ফলে তারা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বাস চালাতে পারছেন না। ফলে বেসরকারি বাস পরিবহণ মুখ থুবড়ে পড়ছে। করোনা পরিস্থিতির সময় বেসরকারি বাসগুলি নিজেদের ইচ্ছামত ভাড়া নিতে শুরু করেছিল। কিন্তু, করোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পরেও সেই হারেই ভাড়া নিতে থাকে বেসরকারি বাসগুলি। এ নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারপর গত এপ্রিলে রাজ্য সরকার নির্দিষ্টভাবে জানিয়েছিল আগের চার্ট অনুযায়ী ভাড়া নিতে হবে। বর্তমানে বেসরকারি বাসে ন্যূনতম ১০ টাকা ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। এরপর দূরত্ব অনুযায়ী ভাড়া বাড়ছে।