পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। তারপর থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে মনোনয়ন–পর্ব। যেখানে বিজেপি অভিযোগ তুলছে, মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার সেখানে দেখা গেল, বিজেপির দুই সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দলের গাইডলাইনই মানছেন না। ফলে কর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে দেখা যাচ্ছে না তাঁদের। এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে নালিশ ঠোকেন নেতা–কর্মীরা। তারপরই দুই সাংসদকে সতর্ক করল বঙ্গ–বিজেপির নেতারা বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করে রাজ্য বিজেপি। সেখানে বলা হয়, মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাতে দলীয় কর্মীদের কোনও সমস্যায় পড়তে না হয় তার জন্য সেখানে নজর দিতে হবে বিধায়ক–সাংসদদের। এই নির্দেশিকা জারি করা হলেও মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম দু’দিন দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা এবং শান্তনু ঠাকুর তা মানেননি বলে অভিযোগ। ফলে তাঁরা নেতা–কর্মীদের সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাননি। এই অভিযোগ জানানো হয় রাজ্য নেতৃত্বকে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর।
তারপর ঠিক কী হল? পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় এলাকার সাংসদ–বিধায়কদের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যেতে হবে। সহযোগিতা করতে হবে এই মনোনয়ন জমা দিতে। এটাই দলের ঘোষিত গাইডলাইন। সেখানে দুই কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার এবং নিশীথ প্রামাণিক এই গাইডলাইন অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। তাঁরা নিজেদের লোকসভা কেন্দ্রের কর্মীদের নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছেন। আর বিপরীত দিকে দেখা গেল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বারলা, শান্তনু ঠাকুর–সহ দু’একজন বিধায়কও এই নিয়ম মানছেন না। আর তা নিয়ে রীতিমতো ক্ষুব্ধ দলীয় কর্মীরাই। তাই তাঁরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্য নেতৃত্বকে নালিশ ঠুকেছেন। আর তারপরই রাজ্য নেতৃত্ব কড়া বার্তা দিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? বিজেপি সূত্রে খবর, জন বার্লা, শান্তনু ঠাকুর–সহ যাঁদের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে তাঁদের দলের গাইডলাইন মেনে চলতে হবে বলে কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত বিধায়কদেরও রাজ্য নেতৃত্ব সতর্ক করেছে। আজ ১২ জুন, সোমবার থেকে তাঁদের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে মনোনয়ন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই কড়া বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এমনকী বিজেপির সমস্ত বিধায়ক–সাংসদদের এখন থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত নিজেদের এলাকা ছাড়তে পর্যন্ত নিষেধ করা হয়েছে।