নবান্ন চলো কর্মসূচিতে বেআইনি জমায়েত করার অভিযোগে মুকুল রায়, কৈলাস বিজয়বর্গীয়দের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল করল কলকাতা পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন ও মহামারি আইনে অভিযোগ আনা হয়েছে। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, অনুমতি ছাড়াই বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিশাল জমায়েতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই ব্যক্তিরা। তবে তালিকায় নেই দিলীপ ঘোষের নাম।
বৃহস্পতিবার বিজেপির নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে কলকাতা ও হাওড়ায়। রণক্ষেত্রে পরিণত হয় দুই শহরের বিস্তীর্ণ এলাকা। পুলিশের ব্যারিকেড পেরিয়ে নবান্নে পৌঁছতে গিয়ে বাধার মুকে হিংসাত্মক হয়ে ওঠেন বিজেপি কর্মীরা। পালটা লাঠি চালায় পুলিশ। ছোড়ে টিয়ার গ্যাসের সেল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আন্দোলন হিংসাত্মক করে তোলার জন্য যাবতীয় প্ররোচনা ছিল। কিন্তু পুলিশ সহিষ্ণুতা দেখানোয় হিংসা এড়ানো গিয়েছে। তবে কিছু ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এর পরই এদিন বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করল কলকাতা পুলিশ। অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছেন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, অর্জুন সিং, লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাকেশ সিং, ভারতী ঘোষ ও জয়প্রকাশ মজুমদারের নাম।
পুলিশের দায়ের করা অভিযোগকে বেশি গুরুত্ব দিতে রাজি নন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, এই রাজ্যে আইন দুরকম। শাসক দলের জন্য এক আইন আর বিরোধীদের জন্য আইন আলাদা। আর সেই বিরোধী যদি বিজেপি হয় তাহলে তো কথাই নেই। করোনা মহামারির মধ্যে একাধিক মিছিল করেছে তৃণমূল। সম্প্রতি হাতরস কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কার অনুমতি নিয়েছিলেন তিনি? পুলিশ কেন তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেনি। মহামারি আইন কি শুধু বিরোধীদের ওপর কার্যকর হয়? বহু ভুয়ো মামলা আমরা লড়ছি। এটাও লড়ব। তৃণমূল হেরে যাচ্ছে দেখে পুলিশকে ব্যবহার করছে।
মুকুল রায় বলেন, এই সরকারই বলেছিল, গণআন্দোলনে পুলিশ যাবে না। অথচ তারাই পুলিশ পাঠাচ্ছে। পুলিশ নির্ভর হয়ে কোনও সরকার বেশিদিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। পৃথিবীতে খুব কম দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আমাদের যে লিগাল সেল রয়েছে তারা বিষয়টি দেখছে।