সীমান্ত পথে বাংলাদেশে গরু পাচারের কথা শুনেছেন বঙ্গবাসী। সোনা পাচারের কথাও শোনা যায়। তবে এবার সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ম্যাকাও পাখি পাচারের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই দুটি পাখি উদ্ধার করেছে পুলিশ। অপূর্ব সুন্দর দেখতে ওই দুটি পাখি। ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি?
স্থানীয় সূত্রে খবর, গোপন সূত্রে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের কুচলিবাড়ি থানার কাছে খবর আসে সীমান্তবর্তী একটি গ্রামে আমেরিকান ম্যাকাও পাখি লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এরপরই পুলিশ ওই গ্রামে তল্লাশি চালায়।তারপরই কুচলিবাড়ির ডাকুয়াটারি গ্রামে অভিযানে নামে। এরপরই দেখা যায় বাড়ির পাশে খড়ের গাদার মধ্যে লুকানো রয়েছে দুটি বাক্স। আর বাক্স খুলতেই হতবাক পুলিশ কর্মীরা।
আসলে ওই বাক্সের মধ্যেই ছিল দুটি আমেরিকান ম্য়াকাও পাখি। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে বাংলাদেশে পাচার করার জন্য ওই দুটি পাখি ওখানে রাখা হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযানে নামে। এরপরই একেবারে খড়ের গাদা থেকে উদ্ধার হল দুটি পাখি। এদিকে ম্যাকাও পাখি রাখার মতো ব্যবস্থা পুলিশের কাছে নেই। সেক্ষেত্রে বনদফতরের কাছে খবর দেয় পুলিশ। এরপরই বনদফতরের আধিকারিকরা ওই ম্য়াকাও পাখি দুটিকে আপাতত পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।
এদিকে সূত্রের খবর, পুলিশ এক পাখি পাচারকারীর নাম জানতে পেরেছে। তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কোচবিহারে প্রত্যন্ত গ্রামে বিদেশি পাখি এল কীভাবে? অনেকের মতে, বহু রাস্তা ঘুরে ম্য়াকাও পাখিকে কোচবিহারের এই প্রত্যন্ত গ্রামে আনা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কিন্তু কারা রয়েছে এর পেছনে?
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, কোচবিহার সীমান্ত পথে পাচারের নানা নজির রয়েছে। বাংলাদেশে গরু পাচারের সঙ্গেও নাম জড়িয়েছে কোচবিহার সীমান্তের। এনিয়ে রাজ্য ও কেন্দ্রের মধ্য়ে চাপানউতোর কিছু কম হয়নি। এমনকী সীমান্ত পথে সোনা পাচারেরও একাধিক নজির রয়েছে। এমনকী সীমান্ত পথে গাঁজা পাচারের একাধিক উদাহরণও রয়েছে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গকে করিডর করে সাপের বিষ, বন্য জন্তুর নানা দেহাংশ পাচারের নজিরও রয়েছে। তবে এবার সেই পাচারের উপকরণের তালিকায় যুক্ত হল ম্যাকাও পাখির নাম। তবে সচরাচর সীমান্ত পথে ম্যাকাও পাখি পাচারের কথা শোনা যায় না। কিন্তু এবার সেই অপূর্ব সুন্দর ম্যাকাও পাখি উদ্ধার হল কোচবিহারের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে।