বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করতে গিয়ে তাঁর পূর্বসূরী বর্তমানে দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের প্রশংসা করলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে রাজ্যপালকে তাঁর পরামর্শ মেডিটেশন করার।
(পড়তে পারেন। ‘এত হিংসার জন্য দায় কার?’ রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে কাঠগড়ায় তুললেন রাজ্যপাল)
বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে স্পিকার বলেন, ‘আগের রাজ্যপাল এখন দেশের উপরাষ্ট্রপতি। তবুও তিনি ফোন ধরেন। কিন্তু বর্তমান রাজ্যপাল সরাসরি কোনও ফোন ধরেন না। তিনি ফোন ধরান ওসডিকে দিয়ে।’
উপাচার্য নিয়োগ সহ নানা ইস্যুতে রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর মধ্যে আবার পঞ্চায়তে নিবার্চনে আশন্তিপ্রবণ এলাকাগুলোতে সরাসরি নিজে গিয়ে হাজির হয়েছেন। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। এমন কী একটি কন্ট্রোলরুমও চালু করেছেন রাজভবনে। রাজ্যপালের এই ভুমিকায় ‘অস্বস্তি’তে পড়েছে শাসকদল। সেই অস্বস্তির অসন্তোষ ঝরে পড়ল স্পিকারের গলায়।
রাজ্যপালের এই ভূমিকা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্যপাল যা করছেন সেটা ওঁর করার কথা নয়। কেন করছেন সেটা উনিই জানেন। এসব ওঁর এক্রিয়ারের বিষয়ই নয়। কেন উনি করছেন তা উনিই জানেন। ’
স্পিকারের কথায়,'উনি তো সাংবাদিক বৈঠক করছেন। সেটা ওঁকেই জিজ্ঞাসা করা উচিত। মণিপুর তো জ্বলছে., সেখানকার অবস্থা সম্পর্কে দুচারটে বিবৃতি দিন না। প্রধানমন্ত্রী বলুন না কেন সেখানে এই অবস্থা , কেন বলছেন না?'
রাজ্যে অশান্তি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে স্পিকার বলেন, ‘শান্তিপূর্ণ নির্বাচনও তো হচ্ছে। আমরা প্রচার করছি । বিরোধীরাও প্রচার করছে। বিরোধীরা সভা করছে। দু-একটা ছোট ঘটনা ঘটছে। এর আগে অনেক বেশি হতো। এখন একটা ছোট ঘটনা ঘটলেও মিডিয়া বড় করে দেখায়। আজকাল তো সবার হাতে মোবাইল কোথাও পোস্ট করে দিল। সংবাদমাধ্যমে সারাদিন শুধু সেই খবর দেখানো হয়। সারা বাংলায় তা ঘটছে না।’
এ প্রসঙ্গ স্পিকারের আরও বলেন,'অনেকেই অশান্তিতে উস্কানি দিচ্ছেন। গণ্ডগোল পাকানোর পরিকল্পনা হচ্ছে। সেগুলো আগে থামানোর ব্যবস্থা করতে হবে। '
রাজ্যে অশান্তি শুরু হওয়ার পর থেকে রাজভবনে পিসরুম খোলেন রাজ্যপাল। তা নিয়ে বলতে গিয়ে স্পিকার বলেন,'পিসরুম নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনি বরং রাজভবনে শান্তি বজায় রাখুন। আমার মনে হয় ওঁর মন অশান্ত হয়ে গিয়েছে। তাই ওখানে শান্তিরুম তৈরি করেছেন। ওর মেডিটেশন করা উচিত।'