রাজ্য বাজেটে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। তাতেই বিরোধীদের প্রশ্ন, এই টাকা আসবে কোথা থেকে? জবাব দিতে দেরি করেননি স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পরিসংখ্যান দিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, চলতি অর্থবর্ষে গত ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত পরিবহণ দফতর ২৮৯০.২৭ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে। এবারের বাজেটে এমনই দাবি করেছে রাজ্য সরকার। ওই খাতে আগের থেকে ১৫ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। সুতরাং এই পথ ধরেই আরও আয় বাড়বে। আর তা দিয়েই মানুষের সেবা করা হবে।
এদিকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বাজেটে যা দিশা দেখিয়েছেন তাতে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ওই আয় আরও কয়েক’শ কোটি টাকা বাড়তে পারে। সেটা যদি বাস্তবে হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রত্যেকটি কথা অক্ষরে অক্ষরে মিলে যাবে। ইতিমধ্যেই ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার আবাস যোজনার বিষয়টিও দেখবেন এমন আশ্বাস রয়েছে। সেখানে বিপদে যাত্রীদের সাহায্য করতে ‘ভেহিকেল লোকেশন ট্র্যাকিং ডিভাইস’ আগেই চালু করা হয়েছিল। যার মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান জানা যায়। বাজেট ঘোষণায় বলা হয়েছে, রাজ্যের এক তৃতীয়াংশ বাণিজ্যিক যানে ওই ব্যবস্থা চালু করা গিয়েছে।
অন্যদিকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কর্মশ্রী থেকে শুরু করে সকল স্তরে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। স্বনির্ভরতা পথে হাঁটতে চাইছে বাংলা। আর তাই বাজেট পেশ করে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, গাড়ির নথিভুক্তকরণ এবং চালকদের লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে চিপ–যুক্ত স্মার্ট কার্ড চালু করা হয়েছে। পেট্রাপোল, হিলি, চ্যাংরাবান্দা, ফুলবাড়ি–সহ আন্তর্জাতিক সীমান্তে ট্রাকের জন্য আধুনিক চেকপোস্ট চালু করা হয়েছে। মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলা, বহরমপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা, দার্জিলিংয়ের কার্শিয়াং, বাঁকুড়ার ঝিলিমিলি ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমতলা, জোকায় বাসস্ট্যান্ডের উন্নয়ন ছাড়া ধূপগুড়িতে নতুন ট্রাক টার্মিনাস তৈরি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রাজ্যের মুখ্যসচিবকে ভর্ৎসনা করল পরিবেশ আদালত, সাঁতরাগাছি ঝিল নিয়ে কড়া নির্দেশ
এসব জায়গা থেকেও বাড়তি আয় হবে। এই বিষয়ে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, বিশ্বব্যাঙ্কের আর্থিক সহায়তা মিলছে। তা দিয়েই রাজ্যে হুগলি নদীতে জলপথ পরিবহণের পরিকাঠামো সংস্কারে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ওই প্রকল্পের আওতায় ২৯টি আধুনিক জেটি, ৪০টি জায়গায় ইলেকট্রনিক স্মার্ট গেট এবং ২২টি উন্নত ভেসেল তৈরি করা হচ্ছে। মোটর ভেহিকেল আইন লঙ্ঘন করলে কলকাতা পুলিশ, রাজ্য পুলিশ এবং পরিবহণ দফতরের দায়ের করা মামলায় জরিমানা আদায়ের ক্ষেত্রে ‘সংযোগ’ নামে একটি পোর্টাল চালু করা হবে।