ভোট মিটতেই ফের একবার সক্রিয় হয়ে উঠলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এবার শীতলকুচিতে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে এক টুইটে একথা জানিয়েছেন রাজ্যপাল। বৃহস্পতিবার তাঁর শীতলকুচি সফরের পরিকল্পনা রয়েছে।
ভোটগ্রহণের দিন থেকেই উত্তপ্ত কোচবিহারের শীতলকুচি। গত ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফা ভোটগ্রহণে কোচবিহারের শীতলকুচির জোড়পাটকিতে ১২৬ নম্বর বুথে তৃণমূলি দুষ্কৃতীদের গুলিতে মৃত্যু হয় আনন্দ বর্মন নামে ১৮ বছরের এক যুবকের। তার পর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠলে গুলি চালায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর। তাতে মৃত্যু হয় ৪ ব্যক্তির। মৃতদের তাদের সমর্থক বলে দাবি করে তৃণমূল। এর পর অনেক জল গড়িয়েছে। শীতলকুচিতে হেরেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি পার্থপ্রতীম রায়। তার পর বিজেপির বিরুদ্ধে পালটা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল।
ওদিকে সোমবার রাজভবনে রাজ্য মন্ত্রিসভার শপথের পর রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় জানান, ভোটপরবর্তী হিংসায় আক্রান্তদের পাশে দাঁড়াতে বিভিন্ন জায়গায় যাবেন তিনি। পরদিনই তাঁর শীতলকুচি সফরের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করলেন ধনখড়।
এদিন এক টুইটে রাজভবনের তরফে লেখা হয়েছে, আগামী ১৩ মে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ভোটপরবর্তী নজিরবিহীন হিংসায় আক্রান্তদের সঙ্গে কথা বলতে হেলিকপ্টারে শীতলকুচি যাবেন।
ক্ষমতায় ফিরে শীতলকুচি কাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে শীতলকুচির আইসিকে জেরা করেছে সিআইডি। তলব করা হয়েছে ৬ কেন্দ্রীয় জওয়ানকে। তবে তারা হাজিরা দেননি। তলব পড়েছে মাথাভাঙার SDPO-রও। ভোট মিটলেও শীতলকুচি নিয়ে যে রাজনীতি এখনই শান্ত হবে না তা বুঝিয়ে দিচ্ছে ২ পক্ষই।