যাত্রী প্রত্যাখান, বেশি ভাড়া-- অ্যাপ-ক্যাবের বিরুদ্ধে প্রায়শই এই ধরনের অভিযোগ শুনতে পাওয়া। এই বিষয়টি নিয়ে বিব্রত ছিল পরিবহণ দফতর। এবার এই ধরনে অভিযোগ নিরসনে বিশেষ সেল বানাবে পরিবহণ দফতর। পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে অ্যাপ-ক্যাব চালক সংস্থাগুলির সঙ্গে একটি বৈঠক করবেন। সেই বৈঠকেই এই সেল তৈরির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে সংস্থাগুলির সঙ্গে।
পরিবহণমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যাপ-ক্যাব সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে জনগণের নানা অভিযোগ পরিবহণ দফতরের কাছে এসেছে। এই ধরনের অভিযোগের এলে কী করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা শুরু করেছেন দফতরের আধিকারিকরা। একটি বিশেষ সেল তৈরি করে এই ধরনের অভিযোগের নিস্পত্তি কী ভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।
পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, ক্যাব ও বাইক সংস্থাগুলিকে লাইসেন্স দেওয়ার সময় যাত্রী কোনও সমস্যায় পড়লে, যাতে তাঁরা অভিযোগ জানাতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সেই ব্যবস্থা তেমন জনপ্রিয় হয়নি। তাই পরিবহণ দফতর এই ধরনের অভিযোগ নিস্পত্তির জন্য আলাদা একটি সেল তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।
পরিবহণ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিদিন অ্যাপ-ক্যাব বুক করতে নাস্তানাবুদ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। অ্যাপ বাইক নিয়েও একই অভিযোগ রয়েছে। ক্যাব বা বাইক চালকের মর্জি মতো সবই কিছু হচ্ছে। যাত্রীরা যেখানে যেতে চাইছেন সেখানে যাওয়ার জন্য বুক করলে তা বাতিল করে করে দিচ্ছেন অ্যাপ-ক্যাবও বাইক চালক। যেতে রাজি হলেও অনলাইনে পেমেন্ট নিতে চাইছেন না। অনলাইনে যে ভাড়া দেখাচ্ছে তার চেয়ে বেশি ভাড়া চাইছেন চালকরা। যার ফলে যাত্রীকে চূড়ান্ত ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বেশি ভাড়া দিয়ে গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এই হায়রানি ঠেকাতে রাজ্য সরকার আইন সংশোধন করে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা কার্যকর করেছে। কিন্তু যাত্রীদের অধিকাংশই এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল নন। ফলে তাঁরা জানেন না কোথায় অভিযোগ জানাতে হবে। তাই এই অভিযোগ জানানোর জন্য একটি নির্দিষ্ট সেল তৈরি করতে চাইছে পরিবহণ দফতর। বাজেট অধিবেশনের আগেই অ্যাপ-ক্যাব ও অ্যাপ-বাইক চালকদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন পরিবহণমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে রাজ্য বাজেটে এ নিয়ে ঘোষণা করা হতে পারে।