করোনা সংকটে মানবিকতার রাজনীতিতে ইতিমধ্যে কয়েক ল্যাপ এগিয়ে গিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি আনুকূল্যে দেদার দানধ্যানের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। তা দেখে পিছিয়ে থাকতে রাজি নয় রাজ্য বিজেপিও। দলের তরফে জানানো হয়েছে, লকডাউন চলাকালীন পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৩০ লক্ষ পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিতে চলেছেন তাঁরা। ওই পরিবারগুলিকে প্রতিদিন দু’বেলা দু’মুঠো জোগাবেন বিজেপি কর্মীরা। প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেই একাজ করবেন তাঁরা।
লকডাউনে গরিব মানুষ যাতে অনাহারে না-থাকে তা দেখতে দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নড্ডা। প্রত্যেক স্বচ্ছল বিজেপি কর্মীকে ৫টি পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। দলের সভাপতির নির্দেশ পেয়েই ময়দানে নেমে পড়েছেন এরাজ্যের বিজেপি নেতা কর্মী। রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র সায়ন্তন বসু জানিয়েছেন, ‘লকডাউন চলাকালীন রাজ্যের মোট ৩০ লক্ষ পরিবারের খাবারের ব্যবস্থা করবেন বিজেপি কর্মীরা।’
বিজেপি সূত্রের খবর, দলের স্বচ্ছল নেতা-কর্মীদের এই দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। প্রত্যেককে ৫টি করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হবে। সেক্ষেত্রে চাল-ডাল সহ রান্নার সামগ্রী গরিব পরিবারটির কাছে পৌঁছে দিতে হবে, অথবা রোজ পৌঁছে দিতে হবে রান্না করা খাবার।
বিজেপির তরফে জানানো হয়েছে, এরাজ্যে মোট ৭৮.০০০ বুথ রয়েছে। প্রতিটি বুথ থেকে ৫টি করে পরিবার হিসাব করে মোট ৩০,০০,০০০ পরিবারের দেখভাল করবেন বিজেপি কর্মীরা।
রাজনৈতিক মহলের মতে, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে নিজের প্রশাসক ইমেজ জনমানসে সফল ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে ২০১৯-এর নির্বাচনে হারানো জনপ্রিয়তা বেশ কিছুটা ফিরে পেয়েছেন তিনি। উলটো দিকে পরিস্থিতির চাপে সরকারের সমালোচনা করতে পারছে না বিজেপি। চাপে ফেলতে পারছে না তৃণমূলনেত্রীকে। তাই পালটা জনসেবার পথে হেঁটে মমতার দিকে ঘুরে যাওয়া লাইম লাইট কাড়তে চাইছে তারা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিজেপি প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি আদায় করতে পারে কি না তা দেখার।