মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে কলকাতায় ফিরল দোতলা বাস। পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতায় পর্যটনে প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে এবং পুজো পরিক্রমার এক নতুন আঙ্গিক খুলে দিতে মঙ্গলবার নবান্ন থেকে দুটি নীল–সাদা রঙের ডবল ডেকার বাস উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। অজানা কলকাতাকে নতুন করে চেনাতে শহরে প্রমোদভ্রমণের জন্য নামল ছাদ–খোলা এই দোতলা বাস।
সপ্তমী থেকে এই বাসে চেপে ‘নস্টালজিক’ হতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এদিন মুখ্যমন্ত্রীই সেই কথা জানালেন। ৫১ সিটের এই বাসের ওপরতলায় থাকবে ১৬টি সিট। ছাদ–খোলা এই বাসে বসে তিলোত্তমার সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবেন পর্যটক ও সাধারণ মানুষ। বাসে করে পুজো পরিক্রমারও পরিকল্পনা চলছে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাসটি ঘুরে ঘুরে ভিক্টোরিয়া, ন্যাশনাল লাইব্রেরি, চিড়িয়াখানা, নবান্ন ও কলকাতার বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান দেখাবে। ২ ঘণ্টায় সম্পূর্ণ হবে যাত্রা। পরে চাহিদা বুঝে বাসের সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে পর্যটন দফতর। টিকিট বুক করা যাবে বুধবার থেকে। অনলাইনে পাওয়া যাবে টিকিট।’ সপ্তমী থেকে প্রতিদিন মিলবে এই পরিষেবা। প্রথম বাস ছাড়বে সকাল সাড়ে ১০ টায়। সফর শেষ হবে বেলা দেড়টায়। সাড়ে ১১টায় ছাড়বে দ্বিতীয় বাস। সেটি ফিরবে বেলা আড়াইটে নাগাদ।
জানা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ পরিবহণ নিগম ৯০ লক্ষ টাকা খরচ করে জামশেদপুরের সংস্থা ‘বেবকো’ এই বাস দুটি তৈরি করিয়েছে। ধাপে ধাপে এরকম আরও ১০টি দোতলা বাস নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে পরিবহণ দফতর। ছাদ–খোলা এই দুটি বাসই বিএস–৪ গোত্রের। অত্যাধুনিক এই বাসে রয়েছে স্বয়ংক্রিয় দরজা, চওড়া সিঁড়ি, মেট্রোর মতো গন্তব্য–চিহ্নিত বোর্ড, প্যানিক বটন, সিসি টিভি ইত্যাদি। পুরনো ডবল ডেকার বাসগুলিতে দুটি দরজা থাকলেও এটিতে থাকছে কেবল একটি।
এর পাশাপাশি এদিন পুজোর আগে চাকরিপ্রার্থীদের সুখবর দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এদিন বলেন, ‘১২ মার্চ থেকে রাজ্যে কাজ শুরু করেছে ফ্লিপকার্ট লজিস্টিক্স হাব। হাওড়ার উলুবেড়িয়ায় অ্যামাজনের একটি লজিস্টিক হাব তৈরি হয়েছে। এবার এই রাজ্য থেকেই পূর্ব ও উত্তর পূর্বে পরিষেবা দেবে অ্যামাজন। এর জেরে অ্যামাজন ও ফ্লিপকার্ট মিলিয়ে নতুন ২০৫০ কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। সরাসরি এখানে কাজ মিলবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ আরও বাড়াবে। এটাকে পুজোর উপহার বলতে পারেন।’