নতুন করে হিন্দি অ্যাকাডেমি গঠন করার পাশাপাশি দলিত সাহিত্যের বিস্তার ও উন্নতির জন্য নতুন অ্যাকাডেমি স্থাপনের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার হিন্দি দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী নবান্ন সভাঘরে এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘রাজ্য সরকার ২০১১ সালে তথ্য–সংস্কৃতি বিভাগের তত্ত্বাবধানে হিন্দি অ্যাকাডেমি গঠন করেছিল। সে সময় তাতে ১৩ জন সদস্য ছিলেন। সেই অ্যাকাডেমির কাজ আরও ব্যাপকভাবে বাড়ানোর জন্য সেটি পুনর্গঠন করা হচ্ছে। নতুন কমিটি তৈরি করা হচ্ছে। তাতে থাকছেন প্রাক্তন সাংসদ ড. বিবেক গুপ্ত, দীনেশ বাজাজ, শুভা চুড়িয়াল, বিজয় ভারতী, রুপা গুপ্তা, রাজর্ষি শুক্লা, হিতেন্দ্র পটেল, আর কে প্রসাদ, মহম্মদ মাজিদ মিঞা, নীলকমল সিংহ প্রমুখ।
একইসঙ্গে বাংলা সাহিত্যে দলিত সাহিত্যের এক অনস্বীকার্য ধারার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘দলিত সাহিত্যে পুষ্ট হচ্ছে বাংলা সাহিত্য। আমাদের এখানে নমঃশূদ্র–সহ নানা প্রকার জাতের মানুষ বসবাস করেন। এখানে আদিবাসী অ্যাকাডেমি আছে। তাঁদের আরও কাজের দায়িত্ব, সরকারি সাহায্য দেওয়া উচিত। এবার পিছিয়ে পড়া বিভিন্ন গোষ্ঠীর সাহিত্যের উন্নয়নের কথা ভেবে দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ তিনি এদিন জানান, ‘এই অ্যাকাডেমিতে বাংলার সমস্ত তফসিলি জাতির প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আমরা এর আগে রাজবংশী ভাষা অ্যাকাডেমি, কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি গঠন করেছি। সেখানে উত্তরবঙ্গের রাজবংশীদের সাহিত্য, সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এবার এই নতুন অ্যাকাডেমিতে দক্ষিণবঙ্গ তথা সমগ্র রাজ্যের নমঃশূদ্র, মতুয়া, বাগদি, বাউড়ি, ডোম, মাদি–সহ সকল গোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব থাকবে। আমাদের সাওতাল অ্যাকাডেমিতে আদিবাসী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র আগে থেকেই রয়েছে। সেটাকে আরও সুদঢ় করা হবে।’
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, ‘এই দলিত সাহিত্য অ্যাকাডেমির কাজ হবে দলিত সাহিত্য চর্চা, দলিত উদ্বাস্তুদের জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরা, দলিত গ্রন্থাগার তৈরি করা। প্রখ্যাত দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারীকে এই অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান করা হয়েছে। অন্য সদস্যরা হলেন মহুয়া মৌরী বিশ্বাস, শ্রীকুমার রানা, অধীর বিশ্বাস, আশিস হীরা, যতীন বালা, শ্যামল প্রামাণিক, জ্যোতির্ময় রায় প্রমুখ।’ একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, ইতিমধ্যে মতুয়া ডেভলপমেন্ট বোর্ড তৈরির কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।