যাদবপুর থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার প্রাক্তনীদের চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। পাশ করে যাওয়ার পরও এখন কারা হস্টেলে রয়েছেন তাঁদের খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। র্যাগিং রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থাতেও জোর দেওয়া হয়েছে।
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ও ছাত্রীদের মোট ১২টি হস্টেল রয়েছে। এই হস্টেলগুলিতে মোট হাজার খানেক পড়ুয়া রয়েছেন। অভিযোগ উঠেছে বর্তমান ছাত্রদের সঙ্গে প্রাক্তন ছাত্ররাও হস্টেলে থাকেন। এই অভিযোগ আসার পর নড়েচড়ে বসেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রাক্তনীরা যাতে হস্টেল ছেড়ে দেন তার জন্য পদক্ষেপ করেছে কর্তৃপক্ষ।
অনেক আগে র্যাগিং-এর কারণে অশান্তি হয় উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তারপর হস্টেলগুলির ঢোকার পথে ক্যামেরা বসে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর মোট ২২২টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে ক্যাম্পাস এবং হস্টেলে। কিন্তু পড়ুয়াদের নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে জোরদার করতে আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে।
(পড়তে পারেন। বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের হস্টেলে র্যাগিংয়ের অভিযোগ, তিনজনকে পুলিশি জেরা)
(পড়তে পারেন। যাদবপুরের র্যাগিং বিরলতম, নগ্ন করে বারান্দায় হাঁটানো হয়েছিল, কিংপিন সৌরভ, দাবি সরকারি আইনজীবীর)
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যাদের বলেন, 'পাশ করে যাওয়ার পরও অনেক ছাত্র হস্টেলে এসে থাকছেন বলে জানতে পেরেছি। তাদের থাকতে দেওয়া যাবে না। আমরা চিহ্নিত করার কাজ শুরু করেছি।'
আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অ্যান্টি র্যাগিং স্কোয়াড ছিল। তা বাড়িয়ে তিনটি করা হচ্ছে। স্কোয়াডে সদস্য সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। আগে সেই স্কোয়াডে তিন জন সদস্য ছিল। এখন তা বাড়িয়ে ১৫ জন করা হয়েছে। এ ছাড়া স্কোয়াডগুলির পরিচালনার জন্য অ্যান্টি র্যাগিং কমিটির লোকেদের রাখা হয়েছে। এই কমিটিতে বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের লোকজনকেও রাখা হয়েছে। নির্বাচিত জন প্রতিনিধি, সংবাদমাধ্যম, প্রশাসন ও এনজিও-র প্রতিনিধিকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। গার্লস হস্টেলগু নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। সেখানে দিনে ও রাতে নিরাপত্তা রক্ষী রাখা হয়েছে।