শেষ কয়েক মাসে করোনাভাইরাস সংক্রমণে বিধ্বস্ত বিশ্ব। কার্যত রাতারাতি পালটে গিয়েছে পরিস্থিতি। আর্থিক অবস্থা মোটেও ভালো নয় এবং করোনা নিয়ে মানুষের মনে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
সবমিলিয়ে স্বাস্থ্যের উপর বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি এবং দেহের প্রতিরোধ গড়ে তোলা নিয়ে আলোচনা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিভিন্ন সামগ্রীর চাহিদা একলাফে বেড়েছে। সেই চাহিদা পূরণের জন্য করোনাভাইরাস সংক্রান্ত পলিসি চালু করছে বিভিন্ন বিমা সংস্থাগুলি।
এখন কী প্রয়োজন?
করোনা আবহে স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় উদ্ভাবনের গুরুত্ব আরও বেড়েছে। অনেক সংস্থাই উদ্ভাবনের চেষ্টায় সামিল হয়েছে। করোনার টিকা আবিষ্কৃত হলে তবেই অন্ধকারের মধ্যে আলোর রশ্মি দেখা যাবে। সেজন্য অবশ্য অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু ততদিন তো মানবজাতিকে সেই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। সেই সময়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিমা করে মানুষকে সুরক্ষিত থাকতে হবে। সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে আজ অনেক কথা আছে।
বর্তমানে এমনিতেই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত খরচ ক্রমশ বাড়ছে। তার জেরে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি হচ্ছে। একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, দিল্লির একটি বেসরকারি হাসপাতালের আলাদা ওয়ার্ডে করোনা চিকিৎসার খরচ পড়ে গড়ে ১২৬,০০০ টাকা। আইসিইউতে ভেন্টিলেটরে থাকলে সেই খরচ বেড়ে দাঁড়ায় ২৩১,০০০ টাকা (পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুইপমেন্ট বা পিপিই ধরে)।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাসপাতালের বিলের এক-চতুর্থাংশ পিপিইয়ের জন্য খরচ হয়, বিশেষত হাসপাতালে ভরতি হওয়ার সময়। কোভিড-১৯ সংক্রামক হওয়ার কারণে রোগী এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের আবশ্যিকভাবে পিপিই পরতে হয়। স্বাভাবিকভাবেই সেই কারণে হাসপাতালের বিল বেড়েছে। এছাড়াও ক্রেপ ব্যান্ডেজ, টিস্যু, মাস্ক, অস্ত্রোপচারের সরঞ্জামের কারণে খরচ আরও বৃদ্ধি পায়।
চলতি বছর কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যখাতে মোট ২.৬ ট্রিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করেছে। গত পাঁচ বছরে সরকার স্বাস্থ্যখাতে মাথাপিছু খরচও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ২০১৫ সালে মাথাপিছু বরাদ্দের অঙ্কটা ছিল ১,০০৮ টাকা। চলতি বছর তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,৯৪৪ টাকা। কিন্তু সেটাও যথেষ্ট নয়।
এই পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিমা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনার স্বাস্থ্যবিমা থাকে, তখন ভয় পাওয়ার কিছু নেই। এখন অনলাইনে স্বাস্থ্যবিমা পাওয়া সহজ হয়ে উঠেছে। কোনও জটিলতা ছাড়াই আপনি অনলাইনে স্বাস্থ্যবিমা বেছে নিতে পারবেন, প্রিমিয়াম দিতে পারবেন এবং পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবেন।
স্বাস্থ্যবিমার সুবিধা
ইতিমধ্যে আপনার যদি স্বাস্থ্যবিমা থাকে, তাহলে করোনার জন্য নির্দিষ্ট কোনও স্বাস্থ্যবিমার প্রয়োজন নেই। সেই বিমার আওতায় করোনা-সহ সব রোগের জন্য হাসপাতালে ভরতি-থাকা, চিকিৎসার খরচ থাকবে। তবে করোনা চিকিৎসার ক্ষেত্রে অধিকাংশ স্বাস্থ্যবিমা অস্থায়ী সুবিধা দেয়। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যবিমায় বাড়তি গুরুত্ব দিতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনি যদি রিলায়েন্সের মতো সংস্থায় বিমা করেন, তাহলে আপনি সবরকমের রোগের ক্ষেত্রে সুরক্ষা পাবেন। আপনাকে প্রিমিয়ামও কম দিতে হবে। যেমন - আপনার বয়স ২৫ হলে তিন লাখ টাকার বিমার জন্য মাত্র ৫,৫৪৬ টাকা প্রিমিয়াম জমা দিতে হবে। ৫০ বছরে আপনি যদি বিমা কেনেন, তাহলে ১৪,৫৮৬ টাকা প্রিমিয়াম দিতে হবে। রিলায়েন্স স্বাস্থ্যবিমা নিরাপদ এবং সুরক্ষিতও।
রিলায়েন্স হেলথ ইনফিনিটি ইনসিওরেন্স
রিলায়েন্স হেলথ ইনফিনিটি ইনসিওরেন্স হল এমন একটি স্বাস্থ্যবিমা, যা আপনার প্রত্যাশার থেকেও বেশি সুযোগ দেয়। এই বিমার আওতায় আছে রোবোটিক সার্জারি, ডে-কেয়ার ট্রিটমেন্টের সুবিধাও (২৪ ঘণ্টার আগেই হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়)। এক্ষেত্রে ৩০০,০০০ টাকা থেকে ১০,০০০,০০০ টাকা পর্যন্ত বিমা করা যাবে।
এটা সুরক্ষিত থাকার সময়, যখন আপনার সুস্বাস্থ্যের সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। করোনাভাইরাসের জন্য স্বাস্থ্যবিমা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিটি ছোটো পদক্ষেপই প্রয়োজনীয়।
ডিসক্লেমার- এই তথ্যাদি প্রস্তুত করেছে ব্র্যান্ড সলিউশনস টিম। এই প্রবন্ধ লেখার কাজে HT Media-র কোনও সাংবাদিক নিযুক্ত ছিলেন না। এই প্রবন্ধে লেখা তথ্যের সত্যনিষ্ঠতা, প্রাসঙ্গিকতা, যথার্থতা, বৈধতা নিয়ে কোনও দাবি করে না HT Media।