দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বরখাস্ত ৯,০০০ শিক্ষকদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা-সহ মোট চার হাজারের বেশি পদে নিয়োগের ঘোষণা করল ত্রিপুরা সরকার।
জানা গিয়েছে, এই সমস্ত শূন্যপদের মধ্যে ৪,০০০টি নন-টেকনিক্যাল লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক-এ ও মাল্টি-টাস্কিং শ্রেণির কর্মীর। ৫০০টি পদ রয়েছে কনস্টেবলের। ছয় বছর আগে ভুল নিয়োগ প্রক্রিয়ার শিকার ১০,৩২৩ জন বরখাস্ত শিক্ষকের জন্য ক্লারিক্যাল ও মাল্টি-টাস্কিং পদে বয়সসীমায় ছাড় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ত্রিপুরার শিক্ষামন্ত্রী রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, ‘গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-এর সিলেকশন টেস্টের ব্যবস্থা করবে যৌথ নিয়োগকারী বোর্ড। মোট ৮৫ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ১৫ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।’
জানা গিয়েছে, টাইপরাইটিংয়ের অভিজ্ঞতা না থাকলে লোয়ার ডিভিশন ক্লার্ক ও মাল্টি টাস্কিং পদপ্রার্থীকে ৬ মাসের মধ্যে টাইপরাইটিং পরীক্ষায় পাশ করতে হবে।
উল্লেখ্য, ভুল নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য ২০১৪ সালে ১০,৩২৩ জন স্কুলশিক্ষককে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় ত্রিপুরা হাই কোর্ট। ২০১০ সাল থেকে স্নাতকোত্তর, স্নাতক এবং অ-স্নাতক প্রার্থীদের কয়েক দফায় নিয়োগ করা হয়েছিল।
হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ অবসরকালীন আবেদন দায়ের করেন বরখাস্ত শিক্ষক ও ত্রিপুরার তৎকালীন বাম সরকার। ২০১৭ সালের রায়ে হাই কোর্টের নির্দেশ বহাল রাখে শীর্ষ আদালত।
পরবর্তীকালে বরখাস্ত হওয়া ৮,০০০ শিক্ষককে এককালীন নিয়োগ করা হয়। গত ৩১ মার্চ তাঁদের কাজের মেয়াদ সম্পূর্ণ হয়েছে। বাকি শিক্ষকরা বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে বহাল হয়েছেন।