বিদেশে ডাক্তারি পড়ার পরেও ভারতে প্র্যাকটিশ করতে গেলে নির্দিষ্ট পরীক্ষায় পাশ করতে হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষায় পাশ করাটাও সহজ কিছু নয়। সেকারণেই এবার অন্য পথে বিরাট টাকা আয় করছে তিন ভাই। আসলে ফরেন মেডিক্য়াল গ্র্যাজুয়েট পরীক্ষা পাস করতে হয়। তারপর এই দেশে কেউ চিকিৎসক হিসাবে স্বীকৃতি পান। এদিকে তিন ভাইয়ের ইচ্ছা ছিল গ্রামে হাসপাতাল করা। কিন্তু সেটা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। কারণ ভারতের পরীক্ষায় পাশ করতে পারেননি তাঁরা। তবে হাল ছাড়ার পাত্র তাঁরা নন। এবার ভারতীয় ছাত্রদের বিদেশে ডাক্তারি পড়ানোর কনসালটেন্সি ফার্ম করেছে তিন ভাই-বোন। আর তার মাধ্যমেই কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছেন তারা।
পিটিআই সূত্রে খবর, এক ভাই জানিয়েছেন, কবে ওই পরীক্ষাটা পাশ করতে পারব জানি না। কিন্তু বাড়িতে বসে থাকাও যায় না। অনেকে ওই পরীক্ষায় পাশ করতে না পেরে হসপিটাল ম্যানেজমেন্ট পড়েন। কিন্তু আমরা সেই রাস্তায় যাইনি। আমরা বিদেশে ডাক্তারি কোর্স পড়তে যাওয়ার কনসালটেন্সি ফার্ম খুলেছিলাম। একজন ছাত্রকে ভর্তি করাতে পারলে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় ৫০০-৭০০ মার্কিন ডলার করে দেয়। চিন, পোল্যান্ড, জর্জিয়া, উজবেকিস্তানে ছাত্রছাত্রী ভর্তি করিয়ে অন্তত ৪ কোটি টাকা আয় করেছেন তারা।
মৃণাল বলে এক ভাই বলেন, আমরা ডাক্তার হয়েও এত টাকা আয় করতে পারতাম না। হাতুড়ে ডাক্তার হয়েও লাভ নেই। আগে ইউক্রেনে ছাত্র পাঠাতাম। কিন্তু সেখানেও যুদ্ধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে উজবেকিস্তানে ছাত্রছাত্রীদের পাঠানো হয়। তাদের সবরকম সহযোগিতা করা হয় ভর্তি হওয়ার ক্ষেত্রে। এখানেই শেষ নয়, ওই তিন ভাই আপাতত চান ওই সব দেশে ভারতীয় পড়ুয়াদের থাকার মতো হস্টেল খুলতে। এতে তাদের ব্যবসা আরও বাড়বে।
অপর এক বোন বলেন, বিদেশ গিয়ে ভারতীয় খাবার পাওয়ার খুব সমস্যা। সেকারণে আমরা উজবেকিস্তানে একটা হস্টেল খুলেছি। সেখানে ভারতীয় খাবারের মেসও রয়েছে। কিন্তু বিদেশে ডাক্তারি পড়ে এসে ভারতে ডাক্তার হিসাবে গণ্য হওয়া কতটা কষ্টকর এটা কি আপনারা বলেন?
ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, সবরকম স্বচ্ছতা আমরা রাখি। ওদের কাছ থেকে শুধু নথি তৈরি করতে যা খরচ হয় সেটা নিই। বাকি টাকা ওই বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেয়।
এদিকে বিদেশের ওই বিশ্ববিদ্যালয় তাদের অফিসিয়াল অ্য়াডমিশন পার্টনার বা ডিন ফর ইন্টারন্যাশানাল স্টুডেন্টস হিসাবেও মর্যাদা দিয়েছে। সেক্ষেত্রে বিদেশ থেকে পড়ে এসে ডাক্তারি না করতে পারলেও টাকার কোনও অভাব নেই ওই তিনজনের।