করোনা আবহে স্বস্তি দিতে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির বোর্ডের পরীক্ষায় যে সব শিক্ষার্থী ১৫০ নম্বর পেয়েও দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে, তাদের জন্য বছর বাঁচাও পরীক্ষার বন্দোবস্ত করেছে ত্রিপুরা সরকার।
দশম শ্রেণির ট ৬০১৩ জন ও দ্বাদশ শ্রেণির ৩৩০১ জন পড়ুয়া বছর বাঁচাও পরীক্ষায় নাম নথিভুক্ত করেছে। ১২ অক্টোবর থেকে এই পরীক্ষা শুরু হয়েছে। চলবে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজ্য জুড়ে মোট ৩২টি কেন্দ্রে পরীক্ষার বন্দোবস্ত করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী রতানলাল নাথ বলেন, দশম শ্রেণির ৯৩% এবং দ্বাদশ শ্রেণির ৮৯% শিক্ষার্থী প্রথম দিনের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। কোভিড ১৯ এর সমস্ত বিধি নিষেধ মেনে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে।
এবছরই প্রথম বছর বাঁচাও পরীক্ষার আয়োজন করেছে ত্রিপুরা সরকার। যে সব শিক্ষার্থী ১৫০ নম্বর পেয়েও দুটি বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে তারা যাতে দ্রুত পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণ হতে পারে না কলেজে ভর্তি হতে পারে তার জন্য এই ব্যবস্থা।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক হইয়েছিল সেপ্টেম্বরে এই পরীক্ষা হবে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে থাকায় পরীক্ষার দিন পরিবর্তন করা হয়।
৩ জুলাই ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা বোর্ডের দশম শ্রেণির পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। ৬৯.৪৯% পড়ুয়া পাশ করে। ৩১ জুলাই দ্বাদশ শ্রেণির ফলাফল প্রকাশিত হয়। পাশের হার ৮০.৮০%।
শিক্ষা মন্ত্রী জানিয়েছেন, কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে প্রথম মেধা তালিকায় ৯৭২৩ জনের মধ্যে ৩৮৩০জন সুযোগ পেয়েছে। দ্বিতীয় মেধা তালিকা ১৬ অক্টোবর প্রকাশিত হবে।
রাজ্যের ২২টি ডিগ্রি কলেজে ৫৪০৭৫টি আসন আছে। এর মধ্যে বিজ্ঞান, কলা ও বানিজ্য বিভাগের সাম্মানিক স্নাতক স্তরে ৮৪৪৬টি আসন আছে।