ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি এন্ট্রান্স টেস্ট (NEET) এর জন্য ভারতের বাইরে পরীক্ষাকেন্দ্র থাকতে পারে না। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা এক হলফনামায় এ কথা জানাল ভারতের মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া (এমসিআই)।
এর আগে মধ্যপ্রাচ্যের বাসিন্দা এক NEET প্রার্থীর বাবা আবেদন করেন, স্নাতক এমবিবিএস প্রবেশিকা পরীক্ষা অনলাইন করা হোক বা করোনা অতিমারীর কারণে উপসাগরীয় দেশগুলিতে আটকে থাকা প্রায় ৪০০০ NEET প্রার্থীদের জন্য ওই অঞ্চলে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র তৈরি করা হোক। বিচারপতি এলএন রাওয়ের নেতৃত্বে গঠিত বেঞ্চের সামনে সোমবার এই আবেদনটি পেশ করা হয়।
অ্যাডভোকেট গৌরব শর্মার মাধ্যমে দায়ের করা হলফনামায় MCI বলে, NEET ‘পেপার-বই ফর্ম্যাট’ অনুসরণ করে। তাতে পরীক্ষায় 'অভিন্নতা' বজায় থাকে। এই প্রক্রিয়া ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের Joint Entrance Examination (JEE) এর মতো নয়। JEE ভারতে এবং ভারতের বাইরে নয়টি কেন্দ্রে ১ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর অনলাইনে এবং অফলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। ভারতের বাইরের কেন্দ্রগুলির মধ্যে ছয়টি মধ্যপ্রাচ্যে অবস্থিত।
MCI কাতারে আটকে থাকা NEET পরীক্ষার্থীদের জন্য কাতার এবং গালফ কোঅপারেশন কাউন্সিলভুক্ত (GCC) দেশগুলিতে NEET পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করার দাবিতে আপত্তি জানায়। হলফনামায় বলা হয়, ‘… NEET একটি বুকলেট নির্ভর অভিন্ন পরীক্ষা। তাই একই সময়ে তা অনুষ্ঠিত করতে হয়। বিদেশে ভিন্ন সময়াঞ্চল, লজিস্টিকাল ইস্যু, পরীক্ষার কাগজপত্রের গোপনীয়তা রক্ষা করার জন্য দেশের বাইরে পরীক্ষা কেন্দ্র করা সম্ভব নয়।’
আবেদনকারী আবদুল আজিজ করোনার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার ঘোষিত ফ্লাইটের অভাব এবং আন্তর্জাতিক ভ্রমণ অবরোধের কথা উল্লেখ করেন। জবাবে MCI বলে, ভারত সরকার ‘বন্দে ভারত মিশন’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে এবং বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে। ভারত সরকার বিদেশি-সহ নাগরিকদের বিশেষ বিমানের মাধ্যমে ভারতে আসার অনুমতি দিয়েছে।
MCI আরও জানিয়েছে, দেশের বাইরে পরীক্ষাকেন্দ্র হলে সেগুলির উপর কেন্দ্রের কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না এবং বিশ্বজুড়ে প্রশ্নপত্র পরিবহণের জন্য বিশদ পরিকল্পনা প্রয়োজন হবে, বিশেষত যখন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ। তা ছাড়া, বিভিন্ন দেশের সময় অনুসারে আলাদা আলাদা সময়ে পরীক্ষা নেওয়া হলে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
আবেদনকারীদের অনুরোধ অস্বীকার করার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার এবং MCI, উভয়েই একমত।